গোয়ায়  ব্রিটিশ কিশোরী ধর্ষণ-খুনে দুই অভিযুক্ত খালাস

ভারতের গোয়ায় ১৫ বছরের  ব্রিটিশ কিশোরী স্কারলেট কেলিংকে ২০০৮ সালে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছে দুইজন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2016, 03:11 PM
Updated : 23 Sept 2016, 03:11 PM

শুক্রবার গোয়ার আদালত স্যামসন ডি’ সুজা ও প্লাসিডো কারভালহোকে বেকসুর খালাস দেয়। তারা দুইজনই সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের জন্য তৈরি কটেজের কর্মী। প্রমাণের অভাবে তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়।

২০০৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গোয়ার সৈকত থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় স্কারলেটের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়, সারা শরীরে অন্তত ৫০টি আঘাতের চিহ্ন ছিল। মেয়েটিকে মাদকের ককটেল খাইয়ে নেশাচ্ছন্ন করে সমুদ্রে ফেলে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ আছে।

বিবিসি জানায়, ঘটনার দীর্ঘ ৮ বছর পর মেয়ের ওপর অত্যাচারীরা সাজা পাবে, সুবিচার মিলবে, এ আশায় বুক বেঁধে ছিলেন আদালতে উপস্থিত স্কারলেটের মা ফিওনা ম্যাককেওন। কিন্তু রায় শুনে হতাশায় ভেঙে পড়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি বিধ্বস্ত। আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। কেউ না কেউ তো এর জন্য দায়ী।”

“আমি ক্রমাগত ঘুরছি। নিদারূণ যন্ত্রণার অষ্টম বছর এটি এবং আমি অবশ্যই এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাব। আমরা দিনের পর দিন অপেক্ষা করেছি এবং এটা (রায়)এক কথায় জঘন্য। ভারতে পুরো বিচার ব্যবস্থা আমাকে সম্পূর্ণরূপে হতাশ করেছে।”

গোয়া পুলিশ প্রথমে বলেছিল, মদ্যপ অবস্থায় স্কারলেট সমুদ্রের পানিতে ডুবে যায়।

কিন্তু স্কারলেটের মা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অস্বীকার করেন। তার দাবি ছিল, তার মেয়ে খুব ভালো সাঁতার জানতো তাই সে কিছুতেই পানি ডুবে মরতে পারে না।

পরিবারের চাপে মার্চে দ্বিতীয়বার স্কারলেটের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয় এবং দ্বিতীয় প্রতিবেদনে বলা হয়, সমুদ্রে ডুবে মরার আগে স্কারলেটকে মাদক দিয়ে বেসামাল কারার পর ধর্ষণ করা হয়।

যে রাতে স্কারলেট মারা যায়, সেই রাতে ডি’সুজা ও কারভালহো তার সঙ্গে একটি বারে মদ্যপান করেছে বলে অভিযোগ উঠে।

২০০৮ সালের মার্চে ওই দুই ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে নরহত্যা ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়।

স্কারলেট তার পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে ভারতে গিয়েছিল।

তার পুরো পরিবার অন্যত্র ঘুরতে চলে গেলেও ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে সৈকতে পার্টিতে যোগ দিতে গোয়ায় থেকে গিয়েছিলেন স্কারলেট।