ময়ূরকে ‘ক্ষতিকর পাখি’ তালিকাভুক্ত করতে চায় গোয়া 

নারিকেল গাছের পর এবার জাতীয় পাখি ময়ূরের প্রতি ‘নজর’ পড়েছে ভারতের গোয়া রাজ্য সরকারের। ফসলের ক্ষতি করছে এ অজুহাতে তারা দেশটির জাতীয় পাখিকে ‘ক্ষতিকর পাখি’ হিসেবে তালিকাভূক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2016, 09:50 AM
Updated : 13 Feb 2016, 09:50 AM

গোয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। 
 
রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী রমেশ তাওয়াদকর ভারতীয় বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে জানিয়েছেন, প্রস্তাবটি পাস হলে ‘ফসলের জন্য ক্ষতিকর ময়ূর’ নিধনের কর্মসূচি শুরু হতে পারে।   
 
“ময়ূরেরা পাহাড়ি জমিগুলোর ফসলের ক্ষতি করছে বলে অনেক কৃষক আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। ময়ূরের ক্ষতিকর প্রভাব দেখতে রাজ্য সরকার এরই মধ্যে একটি কমিটিও করেছে।” বলেন মন্ত্রী।   
 
বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ১৯৭২ এর আওতায় ভারতে ময়ূর নিধন নিষিদ্ধ।এ বিষয়ে ‘অবহিত’ আছেন জানিয়ে তাওয়াদকর ময়ূরকে ‘উপদ্রব সৃষ্টিকারী পাখি’র তালিকাভুক্ত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।   
 
রাজ্য সরকারের নতুন প্রস্তাবে বানর, বন্য শূকর ও বন্য বাইসনের মতো রাষ্ট্রীয় পশুগুলোকেও ‘ক্ষতিকর’ হিসেবে চিহ্নিত করে সেগুলো ‘নিধন’ এর চিন্তা ভাবনা করছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
 
প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো এ প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। 
 
“গোয়া যদি ভ্রমণকারীদের মানচিত্রে থাকতে চায়, তাহলে তাকে বন্যপ্রাণীদের জন্যও স্বর্গ হতে হবে”, বলেন প্রাণী অধিকার বিষয়ক সংগঠন পেটা ইন্ডিয়া’র পুর্ভা জশিপুরা। 
 
গেল মাসে গোয়া সরকার নারিকেল গাছকে ‘গাছ’ এর তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ‘উদ্ভিদ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে আইন প্রণয়ন করে।
 
এর ফলে রাজ্যটিতে ব্যাপক হারে নারিকেল গাছ কাটা শুরু হবে বলে পরিবেশবিদরা আশঙ্কা করছেন।