পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, হিমাচল প্রদেশের একটি গ্রামে বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নোমান ও তার চার সঙ্গী একটি ট্রাকে করে গবাদি পশু নিয়ে যাচ্ছিল। এটা দেখতে পেয়ে গ্রামবাসী তাদের উপর হামলা চালায়।
ঘটনাস্থলেই নোমানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার বাকি চার সঙ্গী বেঁচে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে পশু পাচার ও গোহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
স্থানীয় পুলিশের মহাব্যবস্থাপক সুমাইয়া সামবাসিভান রয়টার্সকে বলেন, "অভিযোগের বিষয়ে এরই মধ্যে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। যেহেতু এটা একটি গণপিটুনির ঘটনা, তাই এখন পর্যন্ত আমরা অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ গ্রহণ করেছি।"
মাত্র দুই সপ্তাহ আগে রাজধানী দিল্লি থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে দাদরি শহরে গরুর মাংস খেয়েছে এই গুজব ছড়িয়ে মুসলিম এক ব্যক্তিকে এক দল হিন্দু পিটিয়ে হত্যা করে।
যদিও পরে পরীক্ষায় প্রমাণ হয় নিহত ব্যক্তি গরুর মাংস ভক্ষণ করেননি।
ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গরুর মাংস রপ্তানিকারক দেশ। গরুর মাংসের পঞ্চম বৃহত্তম ভোক্তা দেশও ভারত। কিন্তু দেশটির কয়েকটি প্রদেশে গোহত্যা নিষিদ্ধ, যেগুলোর মধ্যে হিমাচল প্রদেশও রয়েছে।
হিন্দু ধর্মে গরু পবিত্র প্রাণী। যদিও দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে অনেক হিন্দু গরুর মাংস ভক্ষণ করে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এছাড়া দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা গরুর মাংস খায়।
সমালোচকদের ধারণা, গরুর মাংস নিয়ে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর পেছনে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মদদ রয়েছে।
দেশজুড়ে গোহত্যা ও গরুর মাংস বিক্রয় বন্ধ করতে এই ভীতি ছড়ানো হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ।