গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে ভারতের প্রস্তাব

আগামী ১৫ বছরের মধ্যে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ একতৃতীয়াংশ কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত।

>>রয়টার্স
Published : 3 Oct 2015, 04:19 PM
Updated : 3 Oct 2015, 04:19 PM

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমিয়ে আনার বিষয়ে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে ডিসেম্বরে প্যারিসে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

তার আগে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোকে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে নিজ নিজ প্রস্তাব পেশ করতে বলা হয়।

ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ। প্যারিসের সম্মেলনের আগে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে ভারতই সবার শেষে তাদের প্রস্তাব পেশ করলো।

ভারতের আগে শীর্ষ দুই কার্বন নিঃসরণকারী দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্র নিজ নিজ প্রস্তাব পেশ করেছে।

চীন ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোর চূড়ান্ত লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

কিন্তু ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ভারতের অর্থনীতি খুব ছোট এবং তাদের জনগণ অত্যন্ত দরিদ্র। তাই এখনই তারা গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোর স্থির লক্ষ্যমাত্রার প্রতিশ্রুতি দিতে পারছে না।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশ্বে যে পরিমাণ গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হয় তার ৮৭ শতাংশের জন্য দায়ী ১৪৬টি দেশ। প্যারিসে সম্মেলনের আগে তাদের পরিকল্পনা প্রস্তাব করতে বলা হয়েছে।

যদিও বিশেষজ্ঞরা বলেন, গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ বন্ধে দেশগুলো যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে যদি সেটা পুরো মাত্রায় প্রয়োগ করা হয় তারপরও এ শতাব্দী শেষে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়ায় বেড়ে যাওয়া আটকানোর জন্য তা যথেষ্ট হবে না।

তবে জাতিসংঘের জলবায়ু প্রধান ক্রিস্টিনা ফিগারস সব দেশের ব্যাপক অংশগ্রহণের প্রশংসা করে বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণে প্যারিসের সম্মেলন একটি 'সন্ধিকালে' পরিণত হতে যাচ্ছে।

“এই সব প্রস্তাবের মাধ্যমে স্থিতিস্থাপক পরিবেশ, নিম্ন-নিঃসরণ ও টেকসই উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগের সুযোগ পাওয়া যাবে।”

ভারত জানিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রস্তাবিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে তাদের ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন মার্ন ডলারের প্রয়োজন হবে।