বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার ভোরের ঠিক আগে করাচি জেলে শাফকাত হুসাইন নামের ওই তরুণকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।
তার আগে সোমবার মধ্যরাতে তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে দেওয়া হয়।
আইনজীবীরা দাবি করে আসছিলেন, শাফকাতের বিচার শুরুর সময় তার বয়স ছিল ১৪ বছর। তার স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছিল নির্যাতন চালিয়ে।
অবশ্য কর্তৃপক্ষ বলে আসছে, ২০০৪ সালে হত্যাকাণ্ডের সময় শাফকাতের বয়স ২৩ বছর ছিল।
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪ সালে করাচির একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন থেকে এক শিশুকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় শাফকাতকে। ওই ভবনে দারোয়ানের কাজ করতেন শাফকাত।
চলতি বছরই চারবার শাফকাতের দণ্ড কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা পিছিয়ে যায়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও রিপ্রাইভসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা শাফকাতের ফাঁসি কার্যকর না করার আহ্বান জানালে তা কাজে আসেনি। তার প্রাণভিক্ষার আবেদনও নাকচ হয়ে যায়।
আন্তর্জাতিক চাপে পাকিস্তানে দীর্ঘদিন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা বন্ধ ছিল। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পেশোয়ারে একটি স্কুলে তালেবান হামলায় দেড়শ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর আবারও সেখানে ফাঁসির রায় কার্যকর করা শুরু হয়।
ওই সময় থেকে এ পর্যন্ত ১৯৩ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছে পাকিস্তান।