আফগান জঙ্গিনেতা জালালুদ্দিন হাক্কানির মৃত্যুর খবর

আফগানিস্তানের অন্যতম শক্তিশালী জঙ্গিগোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা জালালুদ্দিন হাক্কানি অন্ততপক্ষে এক বছর আগে মারা গেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2015, 06:14 AM
Updated : 1 August 2015, 09:28 AM

বিবিসিকে একথা জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র।

তারা বলছেন, দীর্ঘদিন রোগ ভোগের পর হাক্কানি মারা যান এবং তাকে আফগানিস্তানে দাফন করা হয়েছে।  

কয়েক বছর ধরেই হাক্কানির মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গুজবটির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। 
 
বৃহস্পতিবার মোল্লা ওমরের মৃত্যুর খবর তালেবান গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করার একদিন পর শুক্রবার জালালুদ্দিন হাক্কানির মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেল।
 
শুক্রবার তালেবান গোষ্ঠীর কয়েকটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে পাকিস্তানি গণমাধ্যমগুলো হাক্কানির মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে। একটি প্রতিবেদনে এক আফগান কর্মকর্তা ছয় বছর আগে হাক্কানির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন। 

হাক্কানি নেটওয়ার্ক এখনো পর্যন্ত তাদের প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। হাক্কানি পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র শুক্রবার প্রকাশিত গণমাধ্যমের খবরগুলো অস্বীকার করে জানিয়েছেন, জালালুদ্দিন হাক্কানি অসুস্থ অবস্থায় এখনও জীবিত রয়েছেন। 

পাকিস্তানের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধুষ্যিত এলাকাভিত্তিক হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে আল কায়েদা ও তালেবানের ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক আছে। এই দুটি গোষ্ঠীর যোগসাজসে কয়েক বছরে হাক্কানি নেটওয়ার্ক আফগান ও নেটো বাহিনীর ওপর বহু হামলা চালিয়েছে। 

জালালুদ্দিনের ছেলে সিরাজুদ্দিন হাক্কানি নেটওয়ার্কটির প্রকৃত নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছেন বলে দীর্ঘদিন ধরে ধারণা করা হচ্ছিল। এই গোষ্ঠীটি সবসময়ই তালেবানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগ রক্ষা করে চলেছে এবং তালেবান নেতা মোল্লা ওমরকেই নেতা মানত। 

তালেবান কাবুলের ক্ষমতায় থাকাকালে মোল্লা ওমর সরকারের একজন মন্ত্রী ছিলেন জালালুদ্দিন হাক্কানি। মোল্লা ওমরের মৃত্যুর খবর প্রচারিত হওয়ার পর সিরাজুদ্দিন হাক্কানিকে তালেবানের উপনেতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।  

১৯৮০-র দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত দখলদারিত্বের সময় জালালুদ্দিন হাক্কানি আফগান গেরিলা হিসেবে সোভিয়েত সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।  যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ওই সময় জালালুদ্দিনকে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) ‘মূল্যবান সম্পদ’ মনে করতো।