মোল্লা ওমরের মৃত্যু তদন্ত করছে আফগানিস্তান

শীর্ষ তালেবান নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমর মারা যাওয়ার নতুন খবরটি তদন্ত করে দেখছে আফগানিস্তান সরকার।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2015, 02:06 PM
Updated : 29 July 2015, 02:06 PM

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির মুখপাত্র সৈয়দ জাফর হাশেমি বলেন, “কর্তৃপক্ষ খবরটি যাচাই করে দেখার চেষ্টা করছে। খবরের সত্যতার বিষয়ে আমরা নতুন কোনো তথ্য পেলেই দ্রুত তা গণমাধ্যমকে জানাব। যাতে আফগানিস্তানের জনগণ এ ব্যাপারে জানতে পারে।” 

আফগান সরকার ও গোয়েন্দাসূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আত্মগোপনে থাকা মোল্লা ওমর দুই থেকে তিন বছর আগেই মারা গেছেন।

তবে তালেবানের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তালেবান মুখপাত্র শিগগিরই এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেবেন বলে বিবিসি’র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি পাকিস্তানের উদ্যোগে আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে।

পাকিস্তানের একজন কর্মকর্তা বলেন, “মোল্লা ওমরের মৃত্যুর খবরটি নিছক গুজব। শান্তি আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য এ পরিকল্পনা করা হয়েছে।”

ওদিকে, তালেবান মুখপাত্র ক্বারি ইউসুফ আহমদী স্কাই নিউজকে বলেন, “মোল্লা ওমর এখনো জীবিত এবং সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”

এর আগেও বেশ কয়েকবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে মোল্লা ওমরের মৃত্যুর ‘খবর’ প্রকাশিত হলেও ‘এবারই প্রথম’ আফগান সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কেউ তার মারা যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বলে বিবিসি প্রতিবেদনের দাবি। 

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাবাহিনী আফগানিস্তান থেকে চলে যাওয়ার পর মোল্লা ওমরের নেতৃত্বাধীন তালেবান গোষ্ঠী গৃহযুদ্ধকবলিত আফগানিস্তানের বিভিন্ন গোষ্ঠীকে হটিয়ে শাসন ক্ষমতা দখল করে।

২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর আল-কায়েদা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা টুইন টাওয়ারে হামলা চালালে ওসামা বিন লাদেনের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।

আল-কায়েদার সঙ্গে তালেবান সম্পৃক্ততার কারণে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী আফগানিস্তানে অভিযান চালিয়ে মোল্লা ওমরের তালেবান সরকারের পতন ঘটায়।

তখন থেকেই তালেবানের এই শীর্ষ নেতা আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে জীবিত অথবা মৃত ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ১ কোটি ডলার পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল।