মঙ্গলবার সকালে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে করে কালামের মরদেহ প্রথমে শিলং থেকে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর এয়ার ক্রাফট সি-১৩০ বিমানে করে সাবেক এই রাষ্ট্রপতির মরদেহ দিল্লির উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
৮৪ বছর বয়সে সোমবার মারা যান ভারতের সাবেক এই রাষ্ট্রপতি, যাকে তার দেশের মানুষ ‘মিসাইলম্যান’ নামেই ডাকতেন।
সোমবার সন্ধ্যায় মেঘালয়ের শিলংয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন কালাম, সেখানেই হঠাৎ ঢলে পড়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে।
কিছুক্ষণের মধ্যে ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতির হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।
ভারতের একাদশ রাষ্ট্রপতি ছিলেন ড. কালাম, দায়িত্ব পালন করেছেন ২০০২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত, পেয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘ভারতরত্ন’ খেতাব।
তার মৃত্যুতে আগামী সাত দিন জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে ভারত সরকার।
১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর তামিলনাড়ুর একটি ছোট শহরে জন্ম কালামের। শহর ছোট্ট হলেও বড় স্বপ্ন নিয়েই পৃথিবীর পথে যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি।
ভারতের কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনা (স্ট্র্যাটেজিক মিসাইল সিস্টেমস) এবং ১৯৯৮ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষায়ও প্রধান ভূমিকা রাখেন এই বিজ্ঞানী।
রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে তিনি প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় কাজ করেন।
কালামের লেখা ২৯টি বইয়ের মধ্যে ‘উইংস অব ফায়ার’ এ ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তার জীবনের ঘটনাক্রম উঠে এসেছে। বইটির ১০ লাখের বেশি কপি বিক্রি হয়েছে।