বদরূজ্জামানের গ্রামে পাকবাহিনী একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে জঙ্গলের মধ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। এটি তার মনে গভীরভাবে দাগ কাটে। পাকবাহিনীর জঘন্য অত্যাচার দেখে তিনি যুদ্ধে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু বাড়ি থেকে আদরের সন্তানকে যুদ্ধে যেতে দিতে রাজি ছিল না। লক্ষ্যে অবিচল বদরূজ্জামান যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। নৌকাযোগে তিনি ভারতের দিকে রওয়ানা দিয়েছিলেন।
ভারতে গিয়ে তিনি যুদ্ধের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এরপর অস্ত্র নিয়ে তিনি আবার নিজ গ্রামে প্রবেশ করেন। ৫ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন বদরূজ্জামান।
কিশোরগঞ্জে যুদ্ধে অংশ নেন বদরূজ্জামান। এক কঠিন যুদ্ধে পাকবাহিনীর মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। প্রয়োজনের তাগিদে একটা বাথরুমে পজিশন নিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তিনি বিপদের সম্মুখীন হয়েছিলেন। পরে অবশ্য বিপদকে পাশ কাটিয়েও যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন। সেই যুদ্ধে বদরূজ্জামানের অনেক সহযোদ্ধা শহীদ হয়েছিলেন।
যুদ্ধ শেষে শহরে এসে হাজার হাজার লাশ দেখতে পেয়েছিলেন বদরূজ্জামান। আহত কিছু মানুষকে তারা উদ্ধারের ব্যবস্থা করেছিলেন।
মৃত্যুকে কখনও ভয় করেননি বদরূজ্জামান। তার একটাই লক্ষ্য ছিল, সাড়ে সাত কোটি মানুষকে একটা স্বাধীন দেশ উপহার দেওয়া।
বদরূজ্জামান বলেন, ‘আমরা দেশকে স্বাধীন করেছি। এখন এ প্রজন্মের দায়িত্ব এ স্বাধীনতাকে রক্ষা করা।’