এ প্রকাশনা সংস্থার একজন মুখপাত্র জানান, আসন্ন একুশে বইমেলায় ‘নায়করাজ রাজ্জাক: টালিগঞ্জ থেকে ঢালিউড’ পাঠকের হাতে তুলে দেওয়া যাবে বলে আশা করছেন তারা।
ছটকু আহমেদ জানান, রাজ্জাকের জীবদ্দশায় তার আগ্রহ আর অনুমোদনেই এ জীবনী লেখার কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। পর্দার নায়ক রাজ্জাকের নায়করাজ হয়ে ওঠার গল্পের পাশাপাশি তার ব্যক্তি জীবন আর তার নায়িকাদের নিয়ে নানা ‘অজানা কথাও’ তিনি নিয়ে আসছেন দুই মলাটের ভেতরে।
বইটি প্রকাশ উপলক্ষে শুক্রবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম কার্যালয়ে বিপিএলের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এ চিত্রনাট্যকার।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী, বিপিএলের পরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা ও গাজী নাসির উদ্দিন আহমেদ, হেড অব অপারেশনস মোতাসিম বিল্লাহ পিন্টু এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বার্তা সম্পাদক জাহিদুল কবির উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সাদা কালো যুগ থেকে শুরু করে রঙিন যুগ পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে গেছেন নায়করাজ রাজ্জাক। বলা হয়, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে ২৫ বছর প্রায় একাই টেনে নিয়ে গেছেন তিনি।
আবির্ভাব, নীল আকাশের নীচে, ময়নামতি, ক খ গ ঘ ঙ, ঢেউ এর পরে ঢেউ, রংবাজ, বেঈমান, আনোয়ারা, সুয়োরাণী-দুয়োরাণী, মনের মতো বউ, জীবন থেকে নেয়া, পীচ ঢালা পথ, স্বরলিপি, টাকা আনা পাই, আনার কলি, লাইলি মজনু, অবুঝ মন, দুই পয়সার আলতা, কালো গোলাপের মত বহু দর্শকপ্রিয় সিনেমার নায়ক রাজ্জাক চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কারও পেয়েছেন।
গত ২১ অগাস্ট ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নায়করাজের ৭৫ বছরের জীবনের অবসান ঘটে।
ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে সিনেমা পাড়ায় পা রাখা ছটকু আহমেদ প্রথম পরিচালক হিসেবে কাজ করেন ‘নাত বৌ’ চলচ্চিত্রে। রাজ্জাক ছিলেন সেই সিনেমার নায়ক।
পরে ছটকু আহমেদের চিত্রনাট্যে ও মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের পরিচালনায় রাজ্জাক অভিনীত ‘বড় ভালো লোক ছিল’ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়। নায়করাজের পরিচালনায় ‘প্রেম শক্তি’ সিনেমার চিত্রনাট্যও ছটকু আহমেদের লেখা।
তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের কাহিনিকার ও সংলাপ রচয়িতা ছটকু আহমেদ বলেন, রাজ্জাকের জীবদ্দশাতেই তার জীবনীগ্রন্থের এক তৃতীয়াংশের মতো কাজ শেষ হয়েছিল। এবার বাকি কাজ শেষ করার পালা।
“আমি চাই মানুষ যেন বইটা পড়ে উজ্জীবিত হয়। তরুণ প্রজন্ম যেন বইটা পড়ে উদ্বুদ্ধ হয়।”
বিপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, হার্ড কভার ও পেপারবুক- দুই সংস্করণেই বইটি প্রকাশ করা হবে যাতে, চলতি পথের যাত্রীরা সহজে সঙ্গে রাখতে পারেন, আবার সংগ্রাহকরাও আগ্রহী হন। পাশাপাশি ডিজিটাল সংস্করণে ই-বুক আকারেও বইটি ইন্টারনেটে আসবে।
ছটকু আহমেদের সঙ্গে বিপিএলের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন মোতাসিম বিল্লাহ পিন্টু।
তিনি জানান, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিপিএল ২০১৫ সালের একুশে বইমেলায় যাত্রা শুরু করে এ পর্যন্ত ৩৭টি বই প্রকাশ করেছে।