সাংবাদিকদের এভাবে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে ইনকিলাবের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় ডিআরইউ।
ইনকিলাব এ পর্যন্ত শতাধিক সাংবাদিক কর্মচারীর তালিকা তৈরি করে চাকরিচ্যুতির প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু করেছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছেন ডিআরইউর সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, যিনি পত্রিকার একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত রয়েছে।
তালিকায় তাকেও রাখ হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডিআরইউর বিবৃতিতে বলা হয়, ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন পত্রিকাটিতে কর্মরত সব সাংবাদিক-কর্মচারীর পাওনাদি তার মনগড়া পদ্ধতিতে হিসেব নিকেশ করে রেখেছেন।
সেই হিসাব অনুযায়ী, মোট পাওনা থেকে ৩০ শতাংশ পরিশোধের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাকি ৭০ শতাংশের দাবি ছেড়ে দিয়ে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে সমুদয় পাওনা বুঝে পেয়েছি বলে অঙ্গীকার করার কথা বলছে।
এ ধরনের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কারণে গত কয়েকদিনে ডিআরইউর সাত সদস্যসহ প্রায় শতাধিক সাংবাদিক-কর্মচারিকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ভাষাসৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
ডিআরইউ সভাপতি বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ডিআরইউর কার্যনির্বাহী কমিটি মনে করে, বেতন-ভাতা বিষয়ে ইনকিলাব সম্পাদকের দেওয়া এ ধরনের প্রস্তাব অনৈতিক, বেআইনি এবং নীতিবিবর্জিত।
এছাড়া ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী চাকরি করা সাংবাদিক-কর্মচারীদের কাছ থেকে ‘সংবাদপত্র মালিক-সাংবাদিক, শ্রমিক-কর্মচারী সমঝোতা স্মারক’ নামে অঙ্গীকারনামা নিয়ে ওয়েজবোর্ডের পরিবর্তে নির্ধারিত (কনসুলেটেড) বেতনে ও দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে চাকরি করতে বাধ্য করা হচ্ছে বলছে ডিআরইউ।
এ ধরনের অনৈতিক কাজ বন্ধ এবং সর্বশেষ ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী প্রাপ্য সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানোর পাশপাশি বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সম্পাদক যেন দেশের বাইরে যেতে না পারে সে ব্যাপারেও সবার সহযোগিতা চায় সাংবাদিক সংগঠনটি।
বিবৃতিতে দৈনিক মানবকণ্ঠ ও নিউ নেশন থেকে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল অথবা সর্বশেষ ওয়জবোর্ড অনুযায়ী তাদের প্রাপ্য সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।