ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বৃহস্পতিবার এই দুই অভিযোগ আনা হয়।
এর একটিতে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে প্রেস ক্লাবের চার লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ টাকা এবং অপরটিতে হল রুম ভাড়া বাবদ ৩৮ লাখ ২৪ হাজার ৩০০ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ আনা হয়।
পরে মহানগর হাকিম আবদুল্লাহ আল মাসুদ শুনানি শেষে শাহবাগ থানার ওসিকে ঘটনার তদন্ত করে আগামী ১৮ই ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন।
দুই আরজিতে বলা হয়, বাদী ও তার ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্ব পালনের আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্ব পালন করছিলেন আবদাল।
দায়িত্ব পালনকালে ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে চার লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ টাকা এবং ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত হল রুম ভাড়া বাবদ ৩৮ লাখ ২৪ হাজার ৩০০ টাকা আত্নসাত করেন।
নতুন কমিটি দায়িত্বে আসার পর ২০১৫ সালের ১০ জুন প্রেস ক্লাবের হিসাব নিকাশ তদন্ত করে দেওয়ার জন্য জি কিবরিয়া অ্যান্ড কোম্পানি নামের চার্টার্ড একাউনটেন্ট কোম্পানিকে অডিটের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়।
তাদের দেওয়া অডিট প্রতিবেদন থেকে অর্থ আত্মসাতের এই বিষয়টি বের হয়ে আসে বলে আরজিতে বলা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী মো. নজীবুল্লাহ হীরু ও মো. কুতুবউদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আত্মসাত করা এসব অর্থ জাতীয় প্রেস ক্লাবের ফান্ডে বারবার জমা দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হলেও ফেরত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আরজিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ কার্তিক চ্যাটার্জিসহ পাঁচজনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে।