সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে এক মহাসমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এ দাবি জানান। পাশাপাশি বক্তারা জুনের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেওয়ারও দাবি করেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্সের সভাপতি আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে সকালে এই মহাসমাবেশ শুরু হয়ে দুপুর আড়াইটায় শেষ হয়।
মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল।
এছাড়া বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব ওমর ফারুক, সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শাবান মাহমুদ, সহসভাপতি আতিকুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ কার্তিক চ্যাটার্জি, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য মুর্তজা হায়দার লিটন সমাবেশে বক্তব্য দেন।
সভায় নেতারা বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হলেও গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা নানাভাবে বেতন-ভাতার দিক থেকে বঞ্চিত ও চাকুরিচ্যুত হচ্ছেন।
বিএফইউজের মহাসচিব ওমর ফারুক বলেন, “পঞ্চম ওয়েজ বোর্ডে সাংবাদিকদের বেতন সরকারি কর্মকর্তাদের প্রায় সমান ছিল। কিন্তু তারপরই বেতন বৈষম্য তৈরি হয়।”
গতবছর সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার এবং সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২৫০ টাকা মূল ধরে সরকারি চাকুরেদের জন্য অষ্টম বেতন কাঠামো অনুমোদন করে সরকার।
এরপর থেকেই সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন সরকারি বেতন কাঠামোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে।
সর্বশেষ ২০১২ সালে সংবাদপত্রের কর্মীদের জন্য মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে অন্তর্বর্তীকালীন মহার্ঘ্য ভাতা ঘোষণা করেছিল সংবাদপত্রের অষ্টম মজুরি বোর্ড। পরের বছর অষ্টম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণা করা হয়।
এরই মধ্যে সাংবাদিকদের নবম ওয়জ বোর্ড গঠনের দাবির সঙ্গে কয়েকজন মন্ত্রী একাত্মতা জানিয়েছেন।
বিএফইউজের মহাসচিব ওমর ফারুক অভিযোগ করেন, গত তিন বছর তথ্য মন্ত্রণালয় সাংবাদিকদের জন্য কোনও কাজ করেছে বলে মনে হয় না।
বিএফইউজের নেতা মধূসুদন মণ্ডল ঈদের আগে নবম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা দাবি জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপিসহ সকল সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বেড়েছে।
“সুতরাং নবম ওয়েজ বোর্ডের দাবি কোনও অযৌক্তিক দাবি নয়। ওয়েজ বোর্ড শুধু বেতন বাড়ানোর দাবি নয়। এর মধ্য দিয়ে অবকাঠামো তৈরি হয়।”
তিনি সাংবাদিকদের হয়রানি ও কথায় কথায় চাকরিচ্যুতি না করার জন্য মালিকদেরকে আহ্বান জানান।
নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাজমুন আরা হক বলেন, “মেধাবীরাই সাংবাদিকতায় আসেন। অথচ মালিকরা পত্রিকা বের করে সাংবাদিকদের যখন তথন চাকরিচ্যুত করেন।”
তিনি নিজে ২০০৬ সাথে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকা থেকে পদত্যাগ করলেও আজও অবদি তার পাওয়া পাননি বলে দাবি করেন।
এই সাংবাদিক বলেন, এরকম শতশত সাংবাদিক রয়েছে, জনকণ্ঠসহ বিভিন্ন পত্রিকায় যারা নিজের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।