“কেমন যেন লাগছে। আমি কখরও ভাবিনি কোনো পেইন্টিং এক্সিবিশনে এসে এমন অনুভূতি হবে। অবশ্য অন্য দশটা থেকে এটা একেবারেই ভিন্ন। এমন কয়েকজনকে পেলাম যারা আমাদের মাঝে আছেন শুধু এই কাজগুলো দিয়ে, ভাবতেই কেমন লাগে। আমাদের সময়ে অবশ্য শিল্পীবন্ধুরা এত্তসব চিন্তাই করতে পারত না। তবে এটাও ঠিক কাজটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলে, মানুষের মাঝে এমনিতেও বেঁচে থাকা যায়। তবে যাই হোক ইন্টারেস্টিং, আমি আবার আসবো সময় করে।”
বাংলাদেশ, ভারত ও আমেরিকার ২৪জন শিল্পীর কাজ নিয়ে ‘এক্স অফিসিনা নস্ত্রা’ শিরোনামে এক প্রদর্শনী চলছে সেখানে।
দীর্ঘদিন ধরে দেশের শিল্প চর্চার খোঁজ-খবর রাখছেন, সে জায়গা থেকেই যেন একটু অধিকার রেখেই বললেন, “একটা সময় তো রোজায় কোনো প্রদর্শনীও হত না ঢাকায়। আর এখন মানুষ একসঙ্গে এত্তগুলো শিল্পীর কাজ দেখবে, উদ্যোগটা তো নিঃসন্দেহে ভালো। আর মানুষজন তো এই সময় প্রচুর কেনাকাটা করে, সেদিক থেকে চিন্তা করলে কিন্তু এক ধরনের শিল্পের স্বাদও গড়ে উঠবে কাজগুলো দেখলে।”
যাদের মাঝে রয়েছেন- আলমগীর হক, আমিতাভ সেন গুপ্ত, অসিত মিত্র, বীরেন সোম, বনি আদম, ধীরাজ চৌধুরী, হাশেম খান, হাসানুর রহমান রিয়াজ, যোগেন চৌধুরী, জয়া শাহরিয়ার হক, জুটন চন্দ্র হক, কারেন কুঙ্ক, মাহবুবুর রহমান, মাহমুদুল হক, মুর্তজা বশীর, কাইয়ুম চৌধুরী, রনজিৎ দাস, রোকেয়া সুলতানা, রুজভেল্ট বেঞ্জামিন ডি রোজারিও, সমরজিৎ রায় চৌধুরী শিমুল সাহা, সুখময় এম, সুনীল দাস ও তায়েবা বেগম লিপি।
২০১২ সাল থেকে আধুনিক ও সময়োপযোগী মাধ্যমে ছাপচিত্র চর্চার জন্য এই স্টুডিও শিল্পীরা ব্যবহার করে আসছেন। সেই প্রক্রিয়াতেই এই প্রদর্শনীর মূল ভাবনা। সবগুলো কাজই সম্প্রতি মুদ্রণ করা।
‘এক্স অফিসিনা নস্ত্রা’ হল লাতিন আশ্রিত একটি বাক্যাংশ যার অর্থ দাঁড়ায় ‘আমাদের কর্মশালা থেকে’। সাধারণত কোনো এলাকার কাজ এবং সেই কাজের ধরণ বুঝতে কিছুদিন আগেও এই ধরনের চর্চার বেশ একটা চলছিল। সে যাই হোক, নিঃসন্দেহে একটি উপভোগ্য প্রদর্শনী এটি।
সব মিলিয়ে এই ভিন্ন ধরনের দলীয় চিত্র প্রদর্দনী অনেককেই অনুপ্রানিত করবে। সঙ্গে দেখা যাবে আকর্ষণীয় সব ছাপাই ছবি।
১৪ জুন শুরু হওয়া এই আয়োজন চলবে ১১ জুলাই পর্যন্ত। তবে রোজার জন্য বেঙ্গলের নিয়মিত প্রদর্শনীর সময়ে একটু পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সবার জন্য খোলা থাকবে এই আয়োজন।
বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জের ঠিকানাঃ ৬০ গুলশান এভিনিউ, গুলশান ১, ঢাকা ১২১২।
ছবি: ফায়হাম ইবনে শরীফ।