বেশিরভাগ পুরুষই সৌন্দর্য চর্চায় তেমন কোনো মনোযোগ দেয় না। খুব বেশি হলে মুখ সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা, দাড়ি কাটা আর ঘর থেকে বের হওয়ার আগে কেউ কেউ চুলে ক্রিম বা জেল ব্যবহার করেন। তারপরেও কিছু ব্যাপার থাকে যা হয়ত খেয়াল করা হয় না।
আর এই বিষয় নিয়েই একটি লাইফস্টাইলবিষয়ক ওয়েবসাইট অনলাইন জরিপ চালায়। তারা নারীদের কাছে প্রশ্ন রাখেন— স্বামী, বাবা, বন্ধু বা ছেলে সন্তানের কাছে সৌন্দর্যের বিষয়ে দৈনিক কী কী বিষয় আশা করেন তারা?
অবাক করার মতো না হলেও বেশিরভাগ নারীই ছেলেদের ত্বকের যত্ন ও পরিচর্যার ক্ষেত্রে যত্নবান হওয়ার কথা বলেছেন।
জরিপের ভিত্তিতেই পুরুষের সৌন্দর্য চর্চার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।
নাক ও কানের বাড়তি চুল কাটা
অনেকেরই নাক ও কানের চুল বড় হয়ে বাইরে বেরিয়ে থাকে, যা বেশ অস্বস্তিকর। পাশাপাশি এতে ব্যক্তিত্ব যেমন নষ্ট হয় তেমনি কারও সঙ্গে কথা বলার সময় পড়তে পারেন বিব্রতকর অবস্থায়। তাই নাক ও কানের বাড়তি চুলগুলো কেটে ফেলা উচিত। নিয়মিত কান পরিষ্কার করার অভ্যাস গড়ে তোলাও জরুরি।
যেসব পুরুষের চোখের ভ্রু অনেক ঘন এবং ছোট-বড় চুল গজায় তাদের ভ্রু ছোট করার প্রতি খেয়াল রাখা দরকার। ভ্রু ঘন হলে চেহায়ার একটা রাগিভাব আসতে পারে, যা আপনার প্রতি অন্যদের ভুল ধারণার জন্ম দিতে পারে। এজন্য চুল কাটার সময় ভ্রু ছোট করে ছেটে নিতে পারেন।
এক্সফলিয়েট
ছেলেদের মুখ পরিষ্কার রাখার জন্য তেমন একটা যত্নের প্রয়োজন হয় না। তবে ধুলাময়লা আর মরা চামড়ার জমে ত্বক দেখতে মলিন লাগতে পারে। তাই মুখ পরিষ্কারের ক্ষেত্রে অনন্ত ভালোমানে ফেইসওয়াশ ব্যবহার করার পাশাপাশি টুকটাক ত্বকচর্চা করা যেতেই পারে। এতে দেখতেও সতেজ লাগবে।
নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা
সুরক্ষার জন্য ত্বকের ধরন অনুযায়ী এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে সহজেই ত্বক আর্দ্র রাখা যায়।
চোখের নিচে ক্রিম ব্যবহার করা
জরিপে অংশ নেওয়া এক নারী মন্তব্য করেন, “তারা (ছেলেরা) বোঝে না এটা কত দরকারি। যখন বোঝে তখন মেয়েদেরটা ব্যবহার করে। যেমন আমার স্বামী।”
আসলে ধুলাবালি ও রোদ বা বয়সের কারণে চোখের নিচে কালি পড়তেই পারে। আর এর থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত চোখের নিচে ক্রিম ব্যবহার করা যেতেই পারে।
নখ ও পায়ের যত্ন
নখ বড় থাকা শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি ব্যক্তিত্বও হানী করে। এজন্য হাত ও পায়ের নখ ছোট রাখার অভ্যাস গড়তে হবে। বাইরে থেকে এসে হাত-পা-মুখ ধুয়ে মুছে লোশন ব্যবহার করা উচিত। সেই সঙ্গে সপ্তাহে একবার স্ক্রাবিং করা যেতেই পারে। বিশেষ করে আঙুলের ফাঁকগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার রাখলে দেখতেও ভালোলাগে।
ছবির মডেল: দীপ্ত। ছবি: আসাদুজ্জামান প্রামানিক।