ফ্যাশন সন্ধ্যা

১৫ বছর পূর্তিতে এবি ফ্যাশন মেকারের আয়োজন।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2015, 11:59 AM
Updated : 29 June 2015, 03:20 PM

সন্ধ্যা ৬টা। রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে তখন গণমাধ্যমকর্মী আর খ্যাতিমানদের আনাগোনা। নিচ তলায় ঢুকতেই দেখা গেল লাল গালিচার রানওয়ে, জমকালো স্টেইজ আর তিন দিকের ছয় পর্দায় ডকুমেন্টরি প্রদর্শনের প্রস্তুতি। ১৮ই মে সোমবার এমনই পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘এবি ফ্যাশন মেকার’য়ের ১৫ বছর পূর্তিতে ফ্যাশন সন্ধ্যা।

তথ্যচিত্র দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠান গড়ায় ফ্যাশন শো, গান, নাচ আর রাত্রি ভোজনে।

মডেল রুকসানা আলী হীরার কোরিওগ্রাফিতে শো’তে অংশ নেন দেশের স্বনামধন্য মডেলরা। কিডজ পোশাকের বর্ণিল আয়োজন নিয়ে বিশেষ অংশগ্রহণ দেখা যায় ক্ষুদে মডেলদের।

সর্বমোট ৮টি ফ্যাশন কিউতে তুলে ধরা গ্রীষ্ম এবং উৎসবমুখর পোশাক। কাপড় এবং কাটছাঁটের বৈচিত্র্য সঙ্গে ডিজাইনারদের সুচিকর্মের স্বাতন্ত্র্য পুরো ক্যাটওয়াকে দিয়েছে ভিন্ন আবহ।

পাশ্চত্য পোশাকের ছাঁটের সঙ্গে দেশীয় সংমিশ্রণ তুলে ধরা হয় শেষ দিকে। প্রাচীন এবং ঐতিহ্যগত মোটিফ ছিল সালোয়ার কামিজ, টপস এবং পাঞ্জাবিতে। প্রিন্টেট ‘সামার লুক’ নিয়ে বটম এবং টপস বৈচিত্র্য তুলে ধরা হয় বেশ আধুনিক স্টাইলে। এই কিউটিতে স্কার্ট, বটম, শার্ট এবং শর্ট কর্তুার ডিজাইন তুলে ধরা হয়।

ফ্যাশন শো’র পরে নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পী লিখন এবং নাদিয়া। গানে গানে দর্শকের মন জয় করেন কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী, আজমেরী নির্ঝর, সুমী শবনম, পুস্প এবং কুদ্দুস বয়াতী।

অনুষ্ঠানে এবি ফ্যাশন মেকারের কর্ণধার এবং ডিজাইন বিভাগের প্রধান সানাউল হক বাবুল বলেন, “সবার দোয়া, নিজেস্ব মনোবল এবং কর্মদক্ষতা দিয়ে আরও দূর এগিয়ে যেতে চাই। বর্তমানে সারাদেশের হাজারখানেক আউটলেটসহ দেশের বাইরে ইউকে এখন এবি ফ্যাশনের প্রধানতম পোশাকের বাজার। ১৫ বছর ধরে সবাইকে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।”

উল্লেখ্য, এ বছরে বাংলাদেশ থেকে যে ৫৬ জন ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি (কর্মাশিয়াল ইম্পরটেন্ট পারসন) হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে সানাউল হক বাবুল অন্যতম। দেশীয় ফ্যাশন নিয়ে যেসব ব্র্যান্ড কাজ করছে তাদের মধ্যে থেকে এবছর একমাত্র তিনিই এ স্বীকৃতি অর্জন করেন।

জমকালো এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত, রাজনৈতিক নেতা, ব্যাবসায়ী, শিল্পীসহ সকল পেশার ব্যক্তিবর্গ।

ছবি: আলমগীর হোসেন।