ছাতা ও বর্ষাতি

হঠাৎ বৃষ্টিতে রক্ষা পেতে সঙ্গে রাখুন আজই।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2015, 10:39 AM
Updated : 20 May 2015, 12:09 PM

প্রখর রোদে চামড়া পুড়ে গেলেও ছাতা ব্যবহারে উদাসীন অনেকেই। তবে ব্যস্ত জীবনে হঠৎ বৃষ্টিতে  উদাস হওয়ার সুযোগ কোথায়! তাই বৃষ্টির দিন এলেই পুরানো ছাতা বা রেইনকোটের কথা মনে পড়ে।

তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরানো ছাতা বা রেইনকোট খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়। তাই সময় থাকতেই সংগ্রহে রাখুন ছাতা বা রেইনকোট।

বৃষ্টির দিন এলেই ছাতা ও রেইনকোটের বিক্রি বেড়ে যায়, জানালেন রাজধানীর নিউ মার্কেটের বীর বিক্রমপুর ছাতা স্টোরের বিক্রয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন।

রাজধানীর প্রায় সব মার্কেটেই কমবেশি ছাতা ও রেইনকোট পাওয়া যায়। তবে নিউ মার্কেট, নবাবপুর রোড, পলওয়েল মার্কেট, পুরান ঢাকার ইমামগঞ্জ, স্টেডিয়াম মার্কেটে ছাতার দোকান সবচেয়ে বেশি।

ক্রেতাদের চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে এখন ফুটপাথেও কমবেশি ছাতা বিক্রি হতে দেখা যায়।

ছাতা ও রেইনকোটের বিভিন্ন ধরণ, ডিজাইন ও দরদাম সম্পর্কে জানালেন নাসির উদ্দিন।

ছাতা

বর্তমানে তিন ধরনের ছাতা পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। ‘টু ফোল্ড’, ‘থ্রি ফোল্ড’ এবং লম্বা শিকের বড় ছাতা। আকারে ছোট হওয়ার কারণে ‘থ্রি ফোল্ড’য়ের ছাতার চাহিদাই বেশি। বিশেষ করে মহিলা ক্রেতাদের মধ্যে এই ছাতগুলোর চাহিদা বেশি। মানভেদে ছাতাগুলোর দাম পড়বে আড়াইশ থেকে পাঁচশ টাকা।

তিনি আরও বলেন, “টু ফোল্ড’য়ের ছাতাগুলো বেশি কেনে ছেলেরা। দাম তিনশ থেকে সাড়ে পাঁচশ  টাকা।”

এই বিক্রেতা জানান, ‘টু ফোল্ড’য়ের ছাতার মধ্যে আরও আছে কলম ছাতা, চীন ও জাপানের ঐতিহ্যবাহী ডিজাইনের ছাতা। কলম ছাতার দাম সাড়ে তিনশ টাকা। চীনা ও জাপানি ডিজাইনের ছাতাগুলো পাওয়া যাবে পাঁচশ টাকায়।

“আর আমাদের দেশীয় বড় ছাতার দাম পড়বে সাতশ টাকা।” বললেন নাসির।

ছাতার ব্র্যান্ড সম্পর্কে নাসির উদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশে ছাতার ব্র্যান্ডের মধ্যে আছে শংকর, অ্যাটলাস, ফারুক, সারোয়ার, ফিলিপস, তোফায়েল ইত্যাদি। তবে এই প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা কোনো ছাতা তৈরি করেনা। বেশিরভাগই চীন থেকে আমদানি করে থাকে।”

ছাতা কেনার সময় ছাতার শিকগুলো মজবুত কিনা এবং ছাতার কাপড়ের গুণগত মান দেখে কেনার পরামর্শ দিলেন এই বিক্রয়কর্মী।

আর ছাতার যত্ন সম্পর্কে বলেন, “ব্যবহারের পর ভেজা ছাতা খুলে রাখতে হবে যেন শুকিয়ে যায়। শুকানোর পর অবশ্যই ছাতার কাপড়ের ভাঁজ অনুযায়ী ভাঁজ করতে হবে। আর বেঁধে রাখার সময় বেশি চেপে বাঁধা উচিত নয়। এতে কাপড় ছিড়ে যেতে পারে।”

বর্ষাতি বা রেইনকোট

ছবি: অপূর্ব খন্দকার।

নাসির উদ্দিন বলেন, “রেইনকোট দুই ধরনের হয়। ‘লং রেইনকোট’ এবং ‘টু পিস রেইনকোট’। হাঁটু পর্যন্ত লম্বা লং রেইনকোটগুলো সাইজভেদে শিশু ও মেয়েরাই বেশি কেনেন। আর টু পিস রেইনকোটগুলো কেনেন ছেলেরা। সবগুলোর সঙ্গেই টুপি থাকে।”

দাম সম্পর্কে তিনি জানান, রেইনকোটের দাম নির্ভর করে কাপড়ের মান এবং কাপড়ের নিচে কয়টি পরত আছে তার উপর। রেইনকোটের ব্র্যান্ডের মধ্যে আছে ডার্বিসুপার, কমফোর্ট, ব্রিদেবল, রেড চ্যাম্পিয়ন ইত্যাদি।

মেয়েদের রেইনকোটের দাম পড়বে পাঁচশ থেকে দেড় হাজার টাকা। ছেলেদের টু পিস রেইনকোটগুলো পাওয়া যাবে সাতশ থেকে পাঁচ হাজার টাকায়। শিশুদের রেইনকোটের দাম তিনশ থেকে এক হাজার টাকা।

রেইনকোটের যত্ন সম্পর্কে তিনি বলেন, “ব্যবহারে পর রেইনকোট হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখা উচিত। পানি ঝরে গেলে মুছে ভাঁজ করে রাখতে হবে।”