সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, সঙ্গীর রাতের খাবার ওজন কমানো এবং খাবার গ্রহণের পরিমাণের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
এটি এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব যাকে ‘সোশাল মডেলিং’ বলা হয়। এর প্রভাবে মানুষ একা থাকলে যে পরিমাণে খেয়ে থাকেন তার তুলনায় সঙ্গীর সঙ্গে খেতে বসলে কম খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ওয়েলসে’র স্কুল অব সাইকোলজির সহযোগী অধ্যাপক লেনি ভার্টানিয়ান বলেন, “এই ক্ষেত্রে সাধারণত মানুষ খাবার খাওয়ার পরিমাণের ক্ষেত্রে সঙ্গী কী পরিমাণে খাচ্ছে সেই পরিমাণ অনুকরণ করে থাকেন।”
প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত অনুপাত অনুসারে মানুষের খাওয়ার পরিমাণের উপর ভিত্তি করে তৈরি ৩৮টি পর্যবেক্ষণ নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। গবেষকরা দেখান খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে জোড়ালোভাবে সামাজিক প্রভাব রয়েছে।
ভার্টানিয়ান বলেন, “যখন সঙ্গী পরিমাণে কম খায় তখন অপরজনও খাওয়ার পরিমাণে লাগাম টানেন। এতে একা থাকলে যতটা খাওয়া হয় দুজন মিলে খাওয়ার সময় তার তুলনায় কম খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।”
অন্যদিকে সঙ্গী যদি পরিমাণে বেশি খায়, তাহলে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ সেক্ষেত্রে নিজের স্বাভাবিক অভ্যাস অনুযায়ী খাবার খাওয়ার স্বাধীনতা থাকে। আর এই প্রভাব বিভিন্ন ক্ষেত্রেই দেখা যায়। যেমন: স্বাস্থ্যকর বা অস্বাস্থ্যকর নাস্তা, ভারী খাবার খাওয়ার সময় এবং শিশুদের সঙ্গে খাওয়া।
এমনকি সঙ্গীর অনুপস্থিতিতেও এই প্রভাব থাকতে পরে।
গবেষকরা জানান, পুরুষদের তুলনায় নারীদের ক্ষেত্রে এই প্রভাব বেশি লক্ষ করা যায়। এটা হওয়ার কারণ হতে পারে, যখন তারা খায় তখন তাদের খাওয়াটাকে অন্যরা কীভাবে দেখছে সেটা নিয়ে নারীরা বেশি সচেতন থাকেন।
ভার্টেনিয়ান বলেন, “এই মডেলিংটার প্রভাবের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। কারণ মানুষের খাবার গ্রহণের ক্ষমতার উপর এটা বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে।”
সোশাল ইনফ্লুয়েন্স জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।