দুপুরে উদরপূর্তি

কচুর ঘণ্ট আর পুদিনার ডাল দিয়ে হোক দুপুরের আয়োজন।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2015, 12:45 PM
Updated : 5 May 2015, 11:59 AM

এই গরমে সাদা ভাতের সঙ্গে টকমিষ্টি পুদিনার ঘন ডাল আর মাছ দিয়ে কচুর ঘণ্ট লাগবে অমৃত। রেসিপি দিয়েছেন ফারাহ তানজীন সুবর্ণা।

পাঁচমিশালি মাছ দিয়ে কচুর ঘণ্ট

পাঁচমিশালি মাছ দিয়ে কচুর ঘণ্ট

উপকরণ:
কচুর ডগা ২ কাপ (সবুজ অংশ)। রুই, আইড়, কাতল, পাঙাশ ও ইলিশ মাছ— প্রতিটা ১ টুকরা করে (যে কোনো বড় মাছের লেজের অংশ, যা সাধারণত কেউ খেতে চায় না)। হলুদ প্রয়োজন মতো। পেঁয়াজ ১টি কুচি করা। রসুন ৩ কোয়া, কুচি করা। লবণ স্বাদমতো। ধনেপাতা-বাটা ৩ থেকে ৪ চা-চামচ (পাতার চেয়ে ডাটার অংশ বেশি থাকবে এবং পাতলা করে বেটে নিতে হবে)। কাঁচামরিচ ৪ থেকে ৫টি (ধনেপাতার সঙ্গে পাতলা করে বাটা)। গন্ধরাজ লেবুর রস ১ চা-চামচ। তেল প্রয়োজন মতো।

পদ্ধতি: মাছের টুকরাগুলো লবণ আর হলুদ দিয়ে মাখিয়ে হালকা করে ভেজে, কাঁটা বেছে নিন। কচুর ডগা লবণ আর হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করে, ডাল ঘুটনি দিয়ে ঘুটে নেবেন। প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ আর রসুন সোনালি করে ভেজে সিদ্ধ কচু দিয়ে, ভালোভাবে মিশিয়ে পানি শুকিয়ে ফেলুন।

কচুর পানি শুকিয়ে গেলে কাটা ছাড়ানো মাছ ঝুরি, ধনেপাতা-কাঁচামরিচ-বাটা, লেবুর রস মিশিয়ে লবণ চেখে নামিয়ে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

টিপস: কচু কাটা বা ধোয়ার সময় লক্ষ করবেন হাত চুলকায় কিনা। যদি চুলকায় তবে কচু সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নেবেন। যদি রান্নার পর চুলায় থাকা অবস্থায় স্বাদ নিতে গিয়ে গলা ধরে তবে লেবুর রসের পরিমাণ খানিকটা বাড়িয়ে দিতে পারেন। তবে যেকোনো কচুর তরকারি না চেখে পরিবেশন করা ঠিক না। অনেক সময় কচু বেশ পানসে প্রকৃতিরও হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে নামানোর আগে অল্প একটু চিনি মিশিয়ে স্বাদ ঠিক করে নেওয়া যেতে পারে।

টকমিষ্টি পুদিনার ডাল

টকমিষ্টি পুদিনার ডাল

উপকরণ:
মসুরডাল এক মুঠ। মুগ ডাল এক মুঠ (ভেজে নিতে হবে)। বুটের ডাল এক মুঠ। পুদিনাপাতা এক মুঠ। পেঁয়াজ ১টি, কুচি করা। রসুন ৩ কোয়া, কুচি করা। হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ। মরিচগুঁড়া দেড় চা-চামচ। ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ। জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ। আস্ত মেথি আধা চা-চামচ। আস্ত কালোসরিষা আধা চা-চামচ। আস্ত কালো-গোলমরিচ আধা চা-চামচ। মৌরি আধা চা-চামচ। তেঁতুলের কাঁথ প্রয়োজনমতো। আস্ত শুকনামরিচ ২ থেকে ৩টি। চিনি স্বাদমতো। লবণ স্বাদমতো। তেল ২ টেবিল-চামচ।

পদ্ধতি: তিন প্রকারের ডাল ভালো করে ধুয়ে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে সিদ্ধ বসিয়ে দিন। পেঁয়াজ, রসুন, তেঁতুলের কাঁথ, চিনি, লবণ, পুদিনাপাতা, আস্ত শুকনামরিচ আর তেল বাদে বাকি উপকরণ তেল ছাড়া হালকা করে টেলে শিলপাটা বা গ্রাইন্ডারে মিহিগুঁড়া করে রাখুন।

ডাল খুব ভালো করে সিদ্ধ হলে ডাল ঘুটনি দিয়ে ঘুটে ঘন ডালের মতো করে নিন। এবার ঘুটে রাখা ডালে সোয়া এক চা-চামচ থেকে দেড় চা-চামচ গুঁড়া-মসলাগুলো ভালো করে মেশান। যাতে কোনো মসলা দলা পাকিয়ে না থাকে।

প্যানে তেল গরম করে আস্ত শুকনোমরিচ কালো করে ভেজে তাতে পেঁয়াজ ও রসুনকুচি দিয়ে কড়া সোনালি করে ভেজে ডালের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে।

তারপর প্রয়োজনমতো তেঁতুলের কাঁথ আর স্বাদমতো চিনি মিশিয়ে ডালটা ফুটতে দিতে হবে। ফুটে উঠলে মোটাকুচি করে কাটা পুদিনাপাতা দিয়েই নামিয়ে ফেলতে হবে।

সমন্বয়ে: ইশরাত মৌরি।