বেইজ মেইকআপের খুঁটিনাটি

পার্লারে গিয়ে পয়সা খরচের চাইতে নিজের মতো নিজেই সাজুন।

মরিয়ম মনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 May 2015, 10:11 AM
Updated : 1 May 2015, 10:11 AM

যে কোন অনুষ্ঠানে নিজেকে সুন্দর করে সাজাতে কেনা চায়। অনেক সময় এই সাজের জন্য অন্যের সাহায্য নিতে হয়। তবে মেইকআপের বিষয়ে খুঁটিনাটি কিছু জানা থাকলে নিজেই কারও সাহায্য ছাড়াই নিজেকে সাজিয়ে নিতে পারেন।

এ জন্য মেইকআপের কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছে রাখতে হবে। পরামর্শ দিচ্ছেন আকাঙ্ক্ষা’স গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড’য়ের কর্নধার অ্যারোমা থেরাপিস্ট জুলিয়া আজাদ।

ক্লিনজিং অয়েল: মেইকআপ করার আগে মুহূর্তে টিসুতে ক্লিনজিং অয়েল নিয়ে মুখ আলতো করে মুছে নিয়ে মেইকআপ রিমুভাল জেল দিয়ে দুতিন মিনিট ম্যাসেজ করে তুলা নিয়ে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নিয়ে টোনার লাগিয়ে নিন।

টোনার ব্যবহার করার ফলে মেইকআপ ত্বকের গভীরে ঢুকতে পারবে না এতে মেইকআপের ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পাবেন। এরপর দুতিন মিনিট অপেক্ষা করে কনসিলার দিয়ে চোখের নিচের ড্রাক সার্কেল অথবা যদি ফ্রেকেলস থাকে তাতে কনসিলার লাগিয়ে নিন। যেখানে ব্রনের দাগ আছে সেখানেও কনসিল করে নিন। এরপর ত্বকের রং থেকে এক শেইড গাঢ় রং দিয়ে ফাউন্ডেশান করে পুরো মুখে গলায় একই রং ফাউন্ডেশান দিয়ে মুখের ত্বকে একটা ইভেন টোন আনতে হবে যেন একই রং মনে হয় পুরো মুখ গলা ঘাড়। এই সময়ে কানেও মেইকআপ করতে ভুলবেন না। নয়তো বেমানান লাগবে। এভাবে ফাউন্ডেশান লাগিয়ে বোতলে পানি নিয়ে স্প্রে করে টিসু পেপার দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। ঘষবেন না চেপে চেপে মুছতে হবে।

এবার আরও একবার অল্প ফাউন্ডোন লাগিয়ে পাফ দিয়ে ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে দিন। এরপর ড্রাস্ট পাউডার দিয়ে পুরো মুখে ব্রাশিং করুন। এরপর কমপেক্ট ফেয়ার টোন লাইট বেইস ড্রাই পাফ দিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন তাহলে পাফ ভিজিয়ে লাগাতে পারেন। এরপর ট্রান্সনুশান পাউডার লাগাতে হবে এটা সাধারণত বর্ণহীন হয়। এটা যে কোনো ধরনের ত্বকে লাগানো যায়। এরপর মুখ কনটারিং করতে হবে।

আমরা মুখোমণ্ডলকে ওভাল শেইপ করে নিতে পারি। এ সময় কন্টারিংয়ের মাধ্যমে জলাইন একটু ড্রাক কালার এবং নাকের দুপাশ এ সময়ে কেটে নিয়ে সার্ফনেস আনতে হয়। যাই করুন না কেনো ত্বকের সঙ্গে মিলে যেতে হবে। তবেই স্বাভাবিক সুন্দর লাগবে।

যাদের নাক খাড়া তারা নাকের দুপাশে ড্রাক কানার করার দরকার নেই। এরপর ব্লাশন ব্রাশ দিয়ে মুখের উঁচু অংশে হাইলাইট করুন। এক্ষেত্রে হালকা গোলাপি বা বাদামি যে কোনো রং নিতে পারেন। ব্লাশনের রং বেশি মনে হলে ট্রান্সলুশান পাউডার দিয়ে ব্লাশন হালকা করে নিলে ভালো লাগবে। লাগিয়ে নিন আপনার মনমতো।

হয়ে গেল ঠিকঠাক বেইস মেইকআপ। শুধু  বেইস মেইকআপ করলেই তো হবে না এর পর আপনাকে সাজের বাকি কাজগুলো ঠিকঠাক ভাবে করতে হবে। তবে বেইস ঠিকঠাক মতো করতে পারলে সাজের বেশির ভাগ সৌন্দর্য এখানেই পেয়ে যাবেন।

এরপর পছন্দমতো চোখের সাজ করুন। হঠাৎ এক দিন করলেই ভালো হবে না। কয়েকবার এভাবে বেইস মেইকআপ করলে অভিজ্ঞতা বাড়বে। ভালোর থেকে আরও ভালো হবে।