এক ধরনের ভারতীয় মিষ্টান্ন। খেতে খুবই দারুণ। অন্যরকম এই মিষ্টির রেসিপি দিয়েছেন দিলরুবা সুলতানা লুবনা।
উপকরণ
গাজর কুচি করা তিন কাপ (কিংবা পরিমাণ নির্ভর করবে আপনার পাত্রের আকারের উপর)। দুধ আধা কাপ। চিনি আধা কাপের একটু বেশি বা প্রয়োজন মতো। ঘি ৬ থেকে ৭ টেবিল-চামচ। নারিকেল কোড়ানো ২ টেবিল-চামচ। কাজুবাদামের কুচি ১ টেবিল-চামচ। তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ ২টি করে। ছোট লালমোহন মিষ্টি প্রয়োজন মতো। একটি টেরিন ছাঁচ বা লম্বা আকৃতির যে কোনো পাএ।
পদ্ধতি
প্রথমে কুচি করা গাজর সামান্য পানি বা আধা কাপ দুধ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ না করলেও কোনো সমস্যা নেই। তবে অনেকে সিদ্ধ করে নিতে পছন্দ করেন।
রান্নার পাত্রে ঘি হালকা গরম করে গাজর, তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ দিয়ে নাড়তে থাকবেন। গাজর থেকে বের হওয়া পানি শুকিয়ে গেলে চিনি, নারিকেল, কাজুবাদামের কুচি দিয়ে আরও নাড়তে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন নিচে লেগে না যায়।
ঘি উপরে ভেসে উঠলে বা মিশ্রনটি আঠালোভাব হলে নামিয়ে টেরিন ছাঁচে সামান্য ঘি লাগিয়ে গাজরের মিশ্রনটি বিছিয়ে এর মাঝ বরাবর ছোট ছোট লাল মোহন বসিয়ে দিন।
তারপর প্রথমে লালমোহনের দুই দিকের খালি অংশ গাজরের মিশ্রণ দিয়ে পূরণ করতে হবে এবং বাকি গাজরের মিশ্রণটুকু লালমোহনগুলোর উপরে বিছিয়ে, হাত দিয়ে সমান করে দিন।
এরপর তিন থেকে চার ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। ফ্রিজ থেকে বের করে পাএটি সাবধানে উপুর করে একটা থালায় ঢেলে দিন। এবার ছুরি দিয়ে সুন্দর করে কেটে পরিবেশন করুন।
সমন্বয়ে: ইশরাত মৌরি।