৫২ নম্বর বাড়ির দোতলায় এর অবস্থান। দোতলায় উঠতে যাওয়ার সিড়িতে রাতের আলোয় মনে হতে পারে স্পেস শিপের ‘সিড়ি’! (নিদেনপক্ষে বনেদি কোনো বিমানে ওঠার সিড়ি!!)
মাত্রই মাস দুয়েক আগেই খুলেছে এই রেস্তোরাঁর দরজা। সাকুল্যে বসতে পারবেন ৮০ জনের মতো— জানান অপারেশনস ম্যানেজার হামেদুর রহমান।
ভেতরটা বেশ ছিমছাম আর আলোর প্রবাহ বেশ একটা ঝকঝকা। রংও মন্দ নয়। চেয়ার-টেবিলে হালকা বেগুনি রংয়ের ছোঁয়া থাই অর্কিডের কথা মনে করিয়ে দিতে পারে। চেয়ার-টেবিল সাজানোও কিন্তু বেশ দারুন! তবে তা অর্কিডের চেয়ে সুন্দর এই বলে প্রকৃতিকে ছোট করার চেষ্টা হবে বোকামি!
চেয়ার টেবিল এমনভাবে সাজানো যাতে যুগলরা যেমন বসতে পারবেন আবার ১০-১২ জনের বড় দলও বসতে পারবেন আয়েশ করেই।
এই খানাদানার ঠিকানার একটি বড় বিষয় হল এর থাই শেফ। কাঁচা-পাকা চুলধারী পাদাজি তার্মপ্রোমরাত জানান এর আগে জুরিখ ও দুবাইয়ের মতো শহরে কাজ করেছেন কয়েক বছর। তিনি বলেন, “আমার বাড়ি ব্যাংককে আর তাই খাবারের স্বাদ হবে খাঁটি ব্যাংককের খাবারের মতো।” কথার ফাঁকে আরও জানান ব্যাংককেই রেস্তোরাঁয় কাজ করেছেন দশ বছরের উপরে।
আসা যাক খাবারের কথায়। থাই খাবার খেয়েছেন আর টম ইয়াম সুপ খাননি তা তো হতে পারে বলে মনে হয়না। থাই শেফের তৈরি এই টম ইয়াম সুপ বেশ ভালো লাগবে এটা চোখ বন্ধ করে বলা যায়। আর শেফের সহজ গার্নিশিংও মন্দ নয়। লেমনগ্রাস, লেবুর রসের গন্ধ, মরিচের ছোঁয়া সংগে আরও কিছু মসলার হালকা আবেশ, বেশ!
প্যাড থাইও একবারে কমন থাই খাবার। প্রধানত মোটা ও ফ্ল্যাট আকারের নুডুলসের সংগে বেশ কিছু মসলা মিলিয়ে বেশ চটজলদি তৈরি হয় এই খাবার। সাইডে থাকা কাজুবাদাম আর শুকনা মরিচের ফ্লেইকস, আহা বাঙালির জিভে তো পোয়া বারো!
ওয়াইফাই আছে, যেমনটা এই সময়ে প্রায় সব রেস্তোরাঁতেই থাকে।
সবশেষে বলা চলে, অ্যাবসলিউট বা অকৃত্রিম থাইয়ের স্বাদ আপনাকে নিতে হবে ‘মূল আকর্ষণ’ খাবার থেকেই। সাজসজ্জা বিবেচনায় রেস্তোরাঁটি আদতে যে কোনো ব্যস্ত শহরের হাল ফ্যাশনের খাবারের ঠিকানার সঙ্গেই যেন মেলে বেশি।
ছবি: তানজিল আহমেদ জনি