টিভি দেখছেন বা বসে কোনো কাজ করছেন, পায়ে মশা কামড়াচ্ছে। রাতে ঘুমাতে গেছেন মশারি টাঙিয়ে, তারপরও একটি দুটি মশা ঢুকে গেছে। কানের কাছে প্যান প্যান শব্দ আর যেখানে সেখানে কামড়.. উফ! অসহ্য।
বাজারে মশা মারার জন্য কয়েল আছে। আছে কীটনাশক বা মশাকনাশক তেল ছড়ানোর যন্ত্র। এগুলো আবার ক্ষেত্রবিশেষে স্বাস্থ্যকর নয়। এমন অবস্থায় বাসায় নিয়ে আসতে পারেন ইলেকট্রিক মসকিটো কিলার।
এই বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ নুসরাত জাহান বলেন, “মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়াসহ আরও অনেক রোগ ছড়ায়। বিশেষ করে শিশুর স্বাস্থের জন্য এসব রোগ খুবই মারাত্মক। মশা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা যেসব কয়েল ব্যবহার করে থাকি এগুলোও মানবস্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। মশা কিংবা কয়েলের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই ইলেকট্রিক মসকিটো কিলার ব্যবহার করা যেতে পারে।”
রকমফের
বাজারে নানান ধরনের ইলেকট্রিক মসকিটো কিলার পাওয়া যায়। এগুলো অবশ্য শুধু মশা নয়, যেকোনো পাকামাকড় ধ্বংস করতে পারে। ছোট থেকে বড় এসবের দামও আকার বেধে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। ইলেকট্রিক মসকিটো কিলারগুলো কোনো ধরনের ধোঁয়া তৈরি করে না। ভেতরে একটি বা দুটি বাতি আর বাতির চারপাশে প্যাঁচানো থাকে তারের তৈরি মশা মারারে ইলেকট্রিক কয়েল বা কুণ্ডলী।
দরদাম ও প্রাপ্তিস্থান
ঢাকাসহ সাড়া দেশেই এ ধরণের ইলেকট্রিক মসকিটো কিলার পাওয়া যায়। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মার্কেট, গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেট, নিউ মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি শপিংমল, গুলশান ডিসিসি মার্কেট ১ ও ২নংয়ে পেয়ে যাবেন।
সাবধানতা
- মসকিটো কিলার রাখার জন্য একটি স্থান নির্ধারণ করুন।
- মসকিটো কিলারের ইলেকট্রিক সংযোগের স্থান বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন।
- কখনও মাথার কাছে মসকিটো কিলার ব্যবহার করবেন না।