গরমে সুন্দর ত্বক

গ্রীষ্মকালে ফুস্কুড়ি, ব্রণ, রোদেপোড়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। তাই এ সময় ত্বকে চাই বাড়তি যত্ন।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 April 2015, 12:50 PM
Updated : 19 July 2016, 11:04 AM

ভারতের কেয়া স্কিন ক্লিনিকের মেডিকেল সার্ভিস এবং আরঅ্যান্ডডি’র প্রধান ড. সঙ্গীতা ভেলাস্কার গ্রীষ্মে ত্বকের বিশেষ যত্নের বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ দেন।

সানস্ক্রিনের ব্যবহার

এই মৌসুমে ত্বক সুরক্ষায় অপরিহার্য একটি প্রসাধনী হল সানস্ক্রিন। আমাদের দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে ‘সান প্রোটেক্টিং ফ্যাক্টর’ বা এসপিএফ থার্টি সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করা জরুরি। ঘর থেকে বের হওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগাতে হবে।

সাধারণ পরিচর্যা

দিনে দুবার অন্তত ত্বক নিয়ম করে পরিষ্কার করতে হবে। এক্ষেত্রে ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং এই ধাপগুলো অনুসরণ করে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। ব্রণের সমস্যা থাকলে স্যালিসিলিক অ্যাসিডযুক্ত ক্লিনজার ব্যবহারের পরামর্শ দেন সঙ্গীতা।

এক্সফলিয়েট

ত্বকের মলীনভাব দূর করতে নিয়ম করে ত্বক এক্সফলিয়েট করতে হবে। এতে ত্বকের মৃতকোষ, শুষ্কভাব, টক্সিন এবং ত্বকের জন্য ক্ষতিকর ও দূষিত পদার্থ দূর হয়। আর নতুন কোষ গঠনেও সহায়তা করে। শুধু মুখের ত্বক স্ক্রাব করলেই চলবে না, হাঁটু এবং কনুইও সপ্তাহে অন্তত দুবার স্ক্রাব করতে হবে। এক্সফলিয়েটের জন্য এক টুকরা লেবুর উপর চিনি নিয়ে ত্বকে ঘষলে উপকার পাওয়া যাবে।

চুলের যত্ন

গরমে ত্বকের পাশাপাশি চুলের আর্দ্রতাও কমে আসে। তাই এই সময়ে অতিরিক্ত কেমিকলযুক্ত প্রসাধনী বা চুল স্টাইলিংয়ের জন্য যেকোনো স্টাইলিং টুলের ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত।

গরমকালে কম কেমিকলযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। আর শ্যাম্পুর পর অবশ্যই ডিপ কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া নিয়মিত নারিকেল তেল, ক্যাস্টর অয়েল এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুল এবং মাথার তালুতে মালিশ করতে হবে।

পায়ের যত্ন

গরমে মুখ ও হাতের ত্বকের পাশাপাশি পায়ের প্রতিও যত্নবান হওয়া উচিত। এই সময় হালকা স্যান্ডেল পরলে পা ঘামবে না এবং পা শুষ্ক থাকবে। তবে রোদের তাপে পায়েরও ক্ষতি হতে পারে। তাই সেখানেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা দরকার। আর নিয়মিত পা পরিষ্কার করে সন্ধ্যায় এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় পায়ে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিতে হবে।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

গ্রীষ্মে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা জরুরি। তাছাড়া গরমে পুষ্টিকর এবং হালকা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। শরীর ঠাণ্ডা রাখবে এমন খাবার বেছে নিতে হবে এই মৌসুমে। শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে খাবারের তালিকায় প্রচুর সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল রাখতে হবে। এই সময় বিভিন্ন ধরনের শাক, শসা, তরমুজ, কমলা, লিচু ইত্যাদি ফলমূল খাওয়া উচিত।