কফি এবং পিৎজার রেস্তোরাঁ

যেয়ে খান কফি, আনিয়ে খান পিৎজা।

মিথুন বিশ্বাসবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2015, 10:35 AM
Updated : 18 March 2015, 12:21 PM

অভিজাত এলাকার অনেক রেস্তোরাঁর ভীড়ে ‘রেড শিফট কফি লাউঞ্জ বার’ এবং ‘পিৎজা মামা মিয়া ’ নিয়ে এই প্রতিবেদন।

রেড শিফট ক্যাফে

৫৭ গুলশান অ্যাভনিউ, ছয়তলা

আসলে একটি আর্ট গ্যালারি। ঢোকার মুখে লবি পেরিয়ে গেলেই পাওয়া যাবে এই কফি লাউঞ্জ।

রেড শিফট ক্যাফে

ছিমছাম চেয়ার টেবিল আর বাইরের আলোর সঙ্গে ভেতরের কৃত্রিম আলো বেশ আবেশ এনে দেয় দিনের বেলাতেই। এই অংশের বাইরে রয়েছে বিশাল বারান্দা। সম্ভবত এখানকার সবচাইতে আকর্ষণীয় অংশ।

একদিকে মাথার উপর ইন্সটেলেশন আর্ট আর অন্যদিকে হালকা সবুজের হাতছানি। সঙ্গে প্রাকৃতিক আলো বাতাস আর এই ‘অভিজাত’ এলাকার বিরাজমান বাস্তবতার আওয়াজ! মন্দ নয় বইকি!

এখানে মাসপ্রতি একদুটি কনসার্টের আয়োজনও করা হয়।

কফি মিলবে বেশ কয়েক পদেরই। যেমন: এসপ্রেসো, লাতে, কাপুচিনো ইত্যাদি। পেটে ক্ষুধা থাকলে আছে হরেক পদের খাবার।

এসপ্রেসো ১২০ টাকা, কাপুচিনো ও লাতে ১৭০ টাকা। ব্যবস্থাপক জানান এখানকার স্যান্ডউইচ অতিথিদের কাছে বিশেষ প্রিয়। স্মোকড চিকেন স্যান্ডউইচ সাড়ে ৩শ’ টাকা, টুনা মেল্ট ২২৫ টাকা এবং গ্রিল্ড চিজ ২শ’ টাকা। 

আছে ওয়াইফাই। ম্যানেজার শারাফাত হোসেন জানান, চলতি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে উপলক্ষে বড় স্ক্রিনের টিভির ব্যবস্থা করেছেন অতিথিদের জন্য।

রেড শিফট ক্যাফে

রেড শিফট ক্যাফে

‘ঘরে-বাইরে’ মিলিয়ে বসার ব্যবস্থা আছে ৫০ জনের।

খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। শুক্রবারে দুপুর ৩টায় খোলে এদের দরজা।  

শিল্পের সঙ্গে কফির মিশেলের ফরাসি ‘উন্নাসিকতা’ আমাদের কাঁচাশীতের রোদের আলতো ছোঁয়ার মতো নিতে চাইলে এই জায়গাটি বোধ হয় একেবারে মন্দ নয়।

পিৎজা মামা মিয়া

বাড়ি ৭৭, রোড ৭, বনানী

এটি ‘টেইক অ্যাওয়ে’ রেস্তোরাঁ। দু-চারটি চেয়ার অবশ্য রাখা আছে যারা একবারে গরম গরম পিৎজা খেতে চান তাদের জন্য। 

অন্যতম কর্ণধার আশিক মাহমুদ খান বলেন, শুরুটা হয়েছে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে।

১৬ পদের পিৎজা পাওয়া যাবে এখানে, জানালেন খান। ১২ এবং ১৬ ইঞ্চি পিৎজা বানান তারা।

ডেলিভারি দেওয়া হয় বনানী, গুলশান ১ এবং ২, নেকেতন, মহাখালি ডিওএইচএস, বারিধারা ডিওএইচএস ও কূটনৈতিক এলাকায়। এছাড়াও ফুডপান্ডা ও হাংরি নাকির মাধ্যমেও অনলাইনে অর্ডার দেওয়া যাবে।

পিৎজা মামা মিয়া

পিৎজা টেবিলে চলে এলে দেখা গেল ‘খাঁটি’ ইতালীয় ঘরানায় ‘থিন ক্রাস্ট’ দিয়ে বানানো। আর সে কারণেই টপিংয়ের বাড়াবাড়ি নেই!

খান জানান, তাদের পিৎজায় যে মোৎজারেল্লা চিজ ব্যবহৃত হয় তা এদের মালিকানাধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘ডাইমেনশন ফুড প্রোডাকশন’য়ের ঠাকুরগাঁও থেকে আসে। তাই আশা করা যায় তাদের মোৎজারেল্লা আর যাই হোক, টাটকা !

এখানে পিৎজা তৈরি করেন পাঁচজনের একটি দল। তাদের ‘ওস্তাদ’ শাখাওয়াত হোসাইন জানান, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন খাবারের প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন বেশ ক’বছর। দেশে ফিরে ইতালীয় মালিকানাধীন পিৎজা রেস্তোরাঁয় কাজ করে খুঁটিনাটি শিখে নিয়েছেন এই খাবারের গূঢ় রহস্য।

মার্গেরিতা ৮শ’ টাকা। কোয়াত্রো ফরমাজ্জি (চার রকম চিজে তৈরি) ১ হাজার ১শ’ টাকা। ফুংগি রোস্সা (মাশরুম) সাড়ে ৯শ’ টাকা। বারবিকিউ চিকেন ১ হাজার ২শ’ টাকা। এগুলো ১২ ইঞ্চি পিৎজার দাম। ১৬ ইঞ্চির দাম আর একটু বেশি। 

ছবি: তানজিল আহমেদ জনি।