কয়েকবছর ধরেই বাঙালির রসনায় নতুন যোগ হওয়া ‘সি ফুড’য়ের এখন বেশ কদর চলছে। আর এই খাবার মুখে পুরতে ঢুঁ দিতে হয় বনেদি এলাকায়। কারণ গুলশান বা বনানী ছাড়া সামুদ্রিক খাবারের আয়োজন মিলবে কম।
সেই চিন্তা থেকেই রাজধানীর কেন্দ্রে, পান্থপথের চৌরাস্তার একটু পাশেই বেশ কয়েক মাস ধরে চালু হয়েছে সামুদ্রিক খাবারের নতুন রেস্তোরাঁ ‘ক্লাউড বিস্ট্রো’। যাতে ‘ঢাকা সাউথ’য়ের অধিবাসীদের ‘নর্থ’য়ে গিয়ে নোনা খাবারের স্বাদ নিতে না হয়।
ফরাসি থেকে ইংরেজিতে মিশে যাওয়া ‘বিস্ট্রো’ শব্দের অর্থ ‘ছোট রেস্তোরাঁ’। তবে এই রেস্তোরাঁর আকার মোটেই ছোট নয়। ক্লাউড বা মেঘ তো আর শহুরে যানজটে মিলবে না। তবে একটু কষ্ট করে পান্থপথের রিকশা-গাড়ি-হিউম্যান হলারের সৌহার্দ্যপূর্ণ যানজট ঠেলে রেস্তোরাঁর দোতালায় পা ফেললেই পেয়ে যাবেন মেঘের দেশের মতোই শান্ত পরিবেশ।
তখন বিশাল কাচের জানালার এপাশ থেকে ওপাশের যানজটও মনে হবে মুগ্ধকর দৃশ্য।
ক্লাউড বিস্ট্রোর প্রথম চমক ছিল বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে ধরা পড়া ৫৫ কেজি ওজনের টুনা মাছের স্টেক। মাছ শিকারে সংশ্লিষ্ট এবং বিশেষজ্ঞদের মতে এটি বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়া এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় টুনা মাছ বলে দাবি করেন মাসুদুল হাসান।
তিনি আরও জানান, অল্পদিনেই ক্লাউড বিস্ট্রোর সি ফুড প্ল্যাটার, ফিশারম্যান বাস্কেট, সল্ট এন্ড পিপার স্কুইড, ফিস অ্যান্ড চিপস, এশিয়ান স্টাইল চিলি ক্র্যাব, সি ফুড সুপ, টেম্পুরা প্রন, সি-ফুড গ্রিন কারি, সি-ফুড রেড কারি ভোজনরসিকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
তবে যারা সি ফুড পছন্দ করেন না তাদের জন্য রয়েছে বিফ স্টেক, চিকেন ড্রামস্টিক, চিকেন সাতে, পেরি পেরি চিকেন, গ্রিল চিকেন বার্গার, স্নিজেল বার্গার, নানান রকম সালাদ এবং কিছু থাই কুজিনসহ নানান ধরনের উপাদেয় খাবার।
উল্লেখযোগ্য খাবারের দামগুলো হল: সিফুড প্ল্যাটার ১,৯৯০ টাকা। ফিশারম্যান’স বাস্কেট ৮৫০ টাকা। এশিয়ান স্টাইল চিলি ক্র্যাব ৪৩০ টাকা। এশিয়ান স্টাইল চিলি প্রন ৪৫০ টাকা। ক্লাউড বিস্ট্রো সিফুড কারি ৬৫০ টাকা। সল্ট অ্যান্ড পিপার স্কুইড ৩২০ টাকা। গ্রিল্ড চিকেন বার্গার ৩৫০ টাকা। চিকেন স্নিজেল বার্গার ২৭৫ টাকা। বিফ বার্গার ৩৫০ টাকা।
হাসান জানান, তাদের রেস্তোরাঁয় দুজন সবচেয়ে কমের মধ্যে ৫শ’ টাকায় দুপুরের খাবার খেতে পারবেন। আর রাতের খাবারে দুজনের পেট ভরতে খরচ হতে পারে ৬শ’ থেকে ২ হাজার টাকা। এছাড়া পানীয়র দাম আলাদা।
ছবি: রেস্তোরাঁর সৌজন্যে।