হোলি মানেই রংয়ের সমারহ আর রং খেলা। তবে রং খেলার মাঝে কেমিকলের কারণে ত্বক ও চুলের ক্ষতি হতে পারে।
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে রং খেলার আগে ও পরের যত্ন নিয়ে কিছু কৌশল জানানো হয়।
হোলি নামে বহুল পরিচিত হলেও, পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গে একে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। সনাতন বৈষ্ণব মত অনুযায়ী ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমায় শ্রীকৃষ্ণ রং ও গুলাল হাতে রাঁধা ও তার গোপীদের সঙ্গে হোলি খেলায় মত্ত হতেন। সে থেকেই দোলপূর্ণিমা বা হোলি উৎসবের প্রচলন ঘটে।
এই উৎসবটি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হলেও বর্তমানে তা অসাম্প্রদায়িক উৎসবে পরিণত হয়েছে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
তাই হোলি উৎসবে থাকে সবার অংশগ্রহণ।
হোলির আগে সুরক্ষা
- হোলি খেলার জন্য কেমিকল মুক্ত রং বেছে নিতে হবে।
- পুরো মুখ এবং শরীরে বেশি করে ময়েশ্চারাইজার বা তেল লাগিয়ে নিতে হবে। এতে ত্বকের সঙ্গে রং আটকে যাবে না।
খেলার সময় সচেতনতা
অনেকের রংয়ের কারণে ত্বকে চুলকানি অনুভব হতে পারে। যে কোনো ধরনের সমস্যা মনে হলে ওই সময়ই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে মুখে ফেইস ওয়াশ না লাগানোই ভালো। এরপর ওই স্থানে ঠাণ্ডা কোনো লোশন লাগিয়ে নিতে হবে।
হোলির পরের পদক্ষেপ
- যদি রং সহজে না উঠে তাহলে ঘষাঘষি বা স্ক্রাব করা যাবে না। কারণ রংয়ের কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, তাই রং উঠানোর জন্য টক দই মাখিয়ে রাখা যেতে পারে।
- ঘরোয়া উপটান বা চন্দন পাউডার রং তুলতে বেশ কার্যকর।
- খাওয়ার হলুদ এবং দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সংবেদনশীল ত্বকে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। তাছাড়া এতে ত্বকও ময়েশ্চারাইজ হবে।