চাপ অনুভব করলে ধীরে শ্বাস নিন

দৈনন্দিন কাজ বা ছুটির দিনে কেনাকাটা বা অন্য কোনো কাজের সময় ‘চাপ’ অনুভব করেন? গবেষণায় জানা গেছে, কিছুটা শান্ত হয়ে বসে ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস করলে অহেতুক এই চাপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

কামরুন নাহার সুমিআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2015, 11:46 AM
Updated : 4 March 2015, 11:47 AM

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা’র ডারহাম’য়ের ডিউক ইউনিভার্সিটির জর্ডান এটকিন বলেন, “একসঙ্গে অনেকগুলো কাজের সময়ের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি করে, কাজের মধ্যে এরকম মানসিক দ্বন্দ্বের ফলে ভোক্তাদের মনে হয় সময় কম।”

তিনি আরও বলেন, “সময় অপচয় বা উপার্জনের কমে যাওয়ার ভয়ের মতো অনুভূতি মানষিক চাপ তৈরি করে। ফলে একজন ব্যক্তি যতটা চাপ অনুভূব করার কথা সেটার চাইতেও বেশি চাপ অনুভব করেন।”

এই সমস্যা থেকে উদ্ধারে পেতে গবেষকরা সহজ দুটি পন্থা উল্লেখ করেন। একটি হচ্ছে ধীর শ্বাসপ্রশ্বাস এবং অন্যটি হল চাপের উত্তেজনাকে কাজে লাগিয়ে ফলদায়ক শক্তিতে রূপান্তর করা, যেমন: আনন্দউত্তেজনা।

দুটো কৌশলই অংশগ্রহণকারীদের উপর প্রয়োগ করে দেখা যায় তারা আগের তুলনায় সময়ের চাপ কম অনুভব করছেন।

গবেষকরা জানান, “ক্রেতাদের দিক থেকে দেখতে গেলে বলা যায়, সময়ের চাপ অনুভবের কারণে অনেকরকম ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। যেমন: দুর্বলতা, ঘুমাতে অসুবিধা এবং বিষাদগ্রস্ত হওয়া। ধীরে শ্বাস নেওয়ার ফলে ইতিবাচক অনুভুতি কাজে করে আর মানুষ সময়টাকে ভালো মতো উপভোগ করে স্বাস্থ্যকর ও সুখি হয়। ”    

গবেষণায় অংশগ্রহণকারিদেরকে তুলনামূলক সময়সাপেক্ষ কাজ নির্বাচন করতে বলা হয় এবং একই সঙ্গে কাজ করার সময়টা কল্পনা করতে বলা হয়।

তারপর অংশগ্রহণকারীদেরকে একটির কাজের সঙ্গে আরেকটি কাজ দ্বন্দ্ব তৈরি করছে এমন কল্পনা করে বলা হয়। কিছু ক্ষেত্রে আসলেই সময়ের স্বল্পতা দেখা যায় তবে অন্যক্ষেত্রে দেখা যায় মূলত আর্থিক ও মানসিক কারনেই ব্যক্তি প্রতিযোগিতা অনুভব করছেন।

আর মনের এ দ্বন্দ্বই সময়ের চাপ বাড়িয়ে দেয়। কারণ ওই সময় অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা কাজ করে।

আর কারণটা বাস্তবিক বা মানসিক যাই হোক না কেন দুশ্চিন্তা বেড়েই চলে।

গবেষণাটি জার্নাল অব মার্কেটিং রিসার্চ’য়ে প্রকাশিত হয়।