বাজারে মিয়াকো, নোভা, নোভেনা, ফিলিপস, ওয়ালটন, মোলিনেক্স, আরএফএল-সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্যান্ডউইচ মেইকার পাওয়া যাচ্ছে। আকার এবং মান ভেদে দাম হতে পারে ৮’শ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা।
বর্তমান বাজারে ‘মিয়াকো’ ব্র্যান্ডের চাহিদা বেশি। দাম ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা। কিছুটা বড় আকারের মিয়াকো স্যান্ডউইচ মেইকার পাওয়া যাবে ১ হাজার ২শ’ থেকে ১ হাজার ৯শ’ টাকায়। স্যান্ডউইচ মেইকারগুলোর ওপর এক বছরের ওয়ারেন্টি রয়েছে।
‘নোভেনা’ ব্র্যান্ডের স্যান্ডউইচ মেইকারগুলো পাওয়া যাবে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৬শ’ টাকায়। ননস্টিক প্লেটের নোভেনা স্যান্ডউইচ মেইকারগুলোতে খুব সহজেই একবারে চারটি স্যান্ডউইচ বানানো যায়। সঙ্গে এক বছরের ওয়ারেন্টি তো থাকছেই।
‘আরএফএল’য়ের নতুন সংযোজন ‘ভিশন’ স্যান্ডউইচ মেইকার পাওয়া যাবে ১ হাজার ৬’শ থেকে ১ হাজার ৮’শ টাকায়। তাছাড়া স্যান্ডউইচ মেইকারগুলোর উপর থাকছে এক বছরের ওয়ারেন্টি।
লম্বা সময় ধরে ব্যাবহারের জন্য দেখে নিতে পারেন ‘ফিলিপস’য়ের স্যান্ডউইচ মেকারগুলো। তবে এক্ষেত্রে দাম একটু বেশি পড়বে বৈকি।
উচ্চ তাপধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এই স্যান্ডউইচ মেকারগুলো পাওয়া যাবে ‘ট্রান্সকম ডিজিটাল’য়ের শো’রুমগুলোতে। ফিলিপস ব্র্যান্ডের এই দীর্ঘস্থায়ী স্যান্ডউইচ মেইকার কিনতে হলে গুনতে হবে সাড়ে ৩ হাজার টাকা।
এছাড়া ‘ন্যাশনাল’য়ের স্যান্ডউইচ মেইকার পাওয়া যাবে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫শ’ টাকায়। ‘নোভা’র স্যান্ডউইচ মেইকারের দাম ১ হাজার ২শ’ থেকে ১ হাজার ৬শ’ টাকায়।
ব্যবহারবিধি
লম্বা সময় ধরে স্যান্ডউইচ মেইকার ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এ সম্পর্কে নিউমার্কেটের ‘আদি এম্পোরিয়াম’ এর স্বত্বাধিকারী নাজমুল হাসান বলেন “একবার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করার পর কিছুক্ষণ পর্যন্ত স্যান্ডউইচ মেইকার উত্তপ্ত থাকতে পারে। তাই এ সময় পুনরায় ব্যবহার না করে ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।”
এক্ষেত্রে তিনি জানান, যেসব স্যান্ডউইচ মেইকারের প্লেট আলাদা করে খোলা যায় সেগুলো সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ভালোমতো শুকাতে হবে।
আর যেসবের প্লেট খোলা যায় না সেগুলো ব্যবহারের পর ঠাণ্ডা হতে সময় দিন। স্যান্ডউইচ মেইকারের প্লেটে খাবারের কোনো অংশ লেগে থাকলে তা সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়ার পর নখ বা প্লাস্টিকের স্প্যাচুলা দিয়ে হালকা করে ঘষে তুলতে হবে।
অথবা কোনো স্পঞ্জ বা কাপড় পানিতে ভিজিয়ে, চিপে পানি ঝরিয়ে সেটা দিয়ে মুছে নিতে হবে।
কোনো মতেই বেশি পানি দিয়ে ধোয়া যাবে না। আর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছলেও খেয়াল রাখতে হবে যন্ত্রের ভেতরে যেন কোনোভাবেই পানি না ঢোকে।
প্রতি ১০ থেকে ১২বার পরিষ্কার করার পর স্যান্ডউইচ মেইকারের ভেতরটা যে কোনো ভেজিটেবল তেল দিয়ে ব্রাশ করুন। এতে নন-স্টিকি অংশটা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
স্যান্ডউইচ মেইকারের বাইরের অংশ ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করা যায়। এক্ষেত্রেও খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশি পানি ব্যবহার না করা হয়।
যেখানে পাবেন