সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, শারীরিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের সেরোটোনিন রাসায়নিক পদার্থের মাত্রায় প্রভাব বিস্তার করে। যা মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগের উন্নতি সাধনে কার্যকর।
বিভিন্ন ক্লিনিকল রোগ, যেমন অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিসঅর্ডার (এএসডি), অ্যাটেনশনে ডেফিসিট হাইপারাকটিভ ডিসঅর্ডার (এডিএইচডি), বাইপোলার ডিসঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া এবং ডিপ্রেশন ইত্যাদির সমষ্টিগত কারণ হচ্ছে সেরোটোনিন’য়ের মাত্রা কম।
চিল্ড্রেন’স হসপিটাল ওকল্যান্ড রিসার্চ ইনিস্টিটিউট’য়ের রোহান্ডা প্যাটরিক বলেন, “সেরোটোনিন কীভাবে কাজ করে তা এই গবেষণা পত্রে আমরা ব্যাখ্যা করেছি।”
প্যাটরিক আরও বলেন, “ভিটামিন ডি এবং ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের কার্যকরণের সঙ্গে সেরোটোনিন উৎপাদনের সম্পর্ক রয়েছে। এর থেকে আমরা বুঝতে পারে এসব মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্টস মস্তিষ্ক কার্যক্ষম করে এবং আমাদের আচরণে প্রভাব ফেলে।”
গবেষকরা আরও জানান, গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে ভিটামিন ডি এবং সামুদ্রিক ওমেগা-থ্রি’র অভাবে বংশধারক প্রক্রিয়ায় প্রতিক্রিয়া তৈরি করে, যেমন সেরোটোনিন প্রক্রিয়া যা মস্তিষ্ক গঠন, সামাজিক যোগাযোগ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে।
এফএএসইবি জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।
ছবি: রয়টার্স।