গলা সুস্থ রাখতে

ব্যথা হওয়া বা কণ্ঠ বসে যাওয়ার আগেই সাবধান থাকুন।

কামরুন নাহার সুমিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2015, 11:27 AM
Updated : 26 Feb 2015, 12:30 PM

গলা বিভিন্ন কোষকলা, স্নায়ু, লালাগ্রন্থি এবং রক্ত নালীর সমন্বয়ে গঠিত। আর গলায় অতিরিক্ত চাপ পড়লে হতে পারে নানান ধরনের সমস্যা।

এই বিষয়ে কথা বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক, কান ও গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহম্মদ আব্দুস সাত্তার।

“সাধারণত ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা ও টনসিলে ইনফেকশসহ অনেক কারণেই গলা ব্যথা করতে পারে। পাশাপাশি থাইরয়েড গ্রন্থি ঠিক ভাবে কাজ না করলেও গলায় ব্যথা হতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “গলা ব্যথার তুলনায় গলা বসে যাওয়ার সমস্যাই বেশি হয়। এক্ষেত্রে অনেক কথা বলার কারণে ‘ভোকাল কর্ডে’ প্রদাহ হয়ে গলা বসে যেতে পারে।”

তাছাড়া দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে গলা ভালো না হলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।

গলার যত্নের কিছু পরামর্শ দেন ডা. সাত্তার।

১। কণ্ঠ বা ভোকাল ভালো রাখতে চাইলে বেশি উচ্চস্বরে বা বেশি নিম্নস্বরে কথা বলা যাবে না। কথা বলতে হবে পরিমিত আওয়াজে।  

২। নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

৩। খাবার আগে ও পরে কুলি করতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে।

ছবি: রয়টার্স।

৪। যারা শিক্ষক, গায়ক ইত্যাদি পেশায় কাজ করছেন তাদেরকে একটু পর পর কথা বা গান গাওয়ার ফাঁকে পানি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষকদেরকে কথা বলার সময় মাইক ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়।

এছাড়া স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে গলা সুস্থ রাখতে আরও কিছু বিষয় সম্পর্কে জানানো হয়।

ঠাণ্ডা থেকে গলা রক্ষা করা

গলা গরম বা উষ্ণ রাখতে গলায় স্কার্ফ ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া তাপমাত্রার অতিরিক্ত পরিবর্তন যেমন- এসি ঘর থেকে বাইরের গরমে যাওয়া, যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে।    

একই পাত্রে খাবার না খাওয়া

অন্যের ব্যবহৃত গ্লাস, বোতল বা কাপ ব্যবহার করলে জীবাণু ছড়ানোর সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। আর একই পাত্রে খাবার খাওয়া এমন কি ন্যাপকিন বা টিস্যু ব্যবহারের ফলেও একজনের শরীরের রোগ জীবাণু অন্যের শরীরেও ছড়িয়ে যেতে পারে।  

নিয়মিত টুথব্রাশ পরিষ্কার করা

সংক্রামণ হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে টুথব্রাশ। যা অনেকেরই জানা নেই। তাছাড়া গলা ও মুখের সম্ভাব্য সমস্যার পেছনেও থাকতে পারে টুথব্রাশ। এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে দাঁত ব্রাশ করার আগে লবণযুক্ত গরম পানিতে টুথব্রাশ ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে টুথব্রাশ জীবাণুমুক্ত থাকার পাশাপাশি পরিষ্কারও থাকবে।

লবণ পানিতে গারগল করা

গলা ও মুখ জীবাণুমুক্ত রাখতে প্রতি রাতে হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গারগল করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে এক চিমটি লবণই যথেষ্ট। তাছাড়া দ্রুত গলার ঘা সারাতেও এ প্রক্রিয়া বেশ কার্যকর।

মধু ও আদা

গলা সুস্থ রাখাতে আদার রসের সঙ্গে মধুর মিশ্রণ দারুণ উপকারি। সকালে দাঁত ব্রাশের পর তিন থেকে চার মি.লি. আদার রসের সঙ্গে পাঁচ মি.লি. মধু মিশিয়ে পান করলে সারাদিনের জন্য উপকার পাওয়া যাবে।