অন্ত্র ভরতে কোয়েন্ত্রো

পর্তুগিজ ভাষায় এই রেস্তোরাঁর নাম দাঁড়ায় ধনেপাতা।

মিথুন বিশ্বাসবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2015, 10:47 AM
Updated : 25 Feb 2015, 10:51 AM

পাঠক দয়া করে যেন আবার রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ লেফটব্যাক ফাবিও কোয়েন্ত্রাওকে ধনেপাতার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না!

সন্ধ্যায় এই কোয়েন্ত্রোতে ঢুকতে গেলে যা মন কেড়ে নেবে তা হল বাইরে থেকে ঝুলতে থাকা কাচের বোতল আর তার ভেতরে থাকা আলো। এই বোতলবন্দি আলো আবার দোতলায় রেস্তোরাঁয় ওঠার পথে কাচের উপর চমৎকার প্রতিবিম্ব তৈরি করে।

আর ভেতরেও একই আবস্থা সারি সারি ঝুলছে বোতলবন্দি আলোকছটা আর চারধারে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবিম্ব। এই ইট, কাঠ আর পাথরের নগরে নয়টা পাঁচটার ‘যাঁতাকল` থেকে বেরিয়ে হঠাৎ এখানে এসে বসলে মনে হতে পারে স্বপ্নিল!

আলোকসজ্জার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে দুই ধরনের বোতল ও ফানেল। বিন্যাসে রয়েছে ভারসাম্যের ছন্দের ছোঁয়া।

রেস্তোরাঁর এক প্রান্তে রয়েছে কাঠের ফ্রেমে বাধানো আয়না। সেখানে এক নজর আয়নার ওপারের কাচের দুনিয়া দেখার ইচ্ছা হতেই পারে। কারণ আয়নার ওপারে আছে বাতি ও প্রতিবিম্বর `মায়াবী খেলা`!

এখানে বসার ব্যবস্থা আছে ৭০ জনের আর বসার ধরণও ভিন্ন। টুলের মতো লম্বা চেয়ারে যেমন দল বেধে বসা যাবে তেমনি জুতা খুলে বৈঠকি ঢংয়ে শরীরটাকে এলিয়ে খুব সহজেই জমানো যেতে পারে সন্ধ্যারাতের আড্ডা। এছাড়া অন্দর মহলের কিছুটা ‘রেট্রো’ থিম ভোজন রসিকদের নজর হয়ত এড়িয়ে যাবে না।

আর অন্দরসজ্জায় এরা একটি নতুন জিনিস যোগ করেছেন বলা যায়। এখানে কাজ করেছেন এমন ১২ জন নির্মাণ শ্রমিকের হাতের ছাপ রেখেছেন এরা একটি দেয়ালের অংশে। নস্টালজিয়া?

চমৎকার এই অন্দরসজ্জা করেছেন তানিয়া আফরোজ, জানান অন্যতম কর্ণধার তানজিল ফিরদাউস। তিনি আরও জানান, পশ্চিমা একটি দেশে থাকার সময় লাতিন আমেরিকান খাবার ও জীবনযাত্রার প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন।

আর এই কারণেই এখানে মিলবে দক্ষিণ আমেরিকান খাবার। আর এই অঞ্চলের বহু খাবারেই ধনেপাতা ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এখানে মিলবে কিছু ভূমধ্যসাগরীয় ঘরানার খাবার।  

শেফের রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে বেশ কয়েক বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা।

ট্যাকোর দাম ২৯৫ থেকে সাড়ে ৩শ` টাকা পড়বে। এনচিলাদাজ সাড়ে ৫শ` থেকে সাড়ে ৬শ` টাকা। নাচোজ ২৯৫ টাকা, তোস্তাদাস ২৯৫ থেকে ৩৯৫ টাকা। পেরুভিয়ান চিকেন ৫৯৫ টাকা। স্টেক ৭৭৫ থেকে ৯৭৫ টাকা। আর স্প্যানিশ ত্যাপাস ঘরানার গ্যাম্বাস পিল পিল দেখতেই জিভে লালা আনবে নিস্চিত করেই!

`ক্যাচ অব দ্য ডে'তে মিলেবে বেশ কয়েক ধরনের মাছ (রেড স্ন্যাপার, ‍সি বাস, পমফ্রেট থেকে বেছে নেওয়া হয়।)

কফি আছে বেশ কয়েক রকমের। স্পেইনের একটি `আলোচিত` কফি মেশিন আছে এখানে। হ্যান্ডমেইড এই মেশিনে বিশেষ প্রযুক্তির কারণে কফি বেরিয়ে আসে বিশেষ তাপমাত্রায়।

চা ছাড়াও অংকিং ও ব্ল্যাক জ্যাকের মতো ড্রিংক পাবেন এখানে। ভালো কথা এই ব্ল্যাক জ্যাক  জাম ফল দিয়ে তৈরি। তাই পাওয়া যাবে শুধু জামের মৌসুমেই। 

প্রতি দুই সপ্তাহে একবার করে তরুণ শিল্পীদের আনপ্লাগড গানের আয়োজন থাকে এখানে।

ঠিকানা: আবির টাওয়ার, ৪৮ প্রগতি সরণি। 

খোলা থাকে সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা (বৃহস্পতি,শুক্র ও শনিবার রাত ১২টা)।

ছবি: তানজিল আহমেদ জনি।