গ্রিন টি'র উপকারিতা

ওজন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ বা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো ছাড়াও রয়েছে নানান গুণ।

তৃপ্তি গমেজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2015, 11:13 AM
Updated : 2 Feb 2015, 11:19 AM

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, ওষুধ হিসেবে গ্রিন টি হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে। চীন দেশে উৎপত্তি স্থল। বর্তমানে সারা বিশ্বেই এই চায়ের উপকারিতার জন্য জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

সাধারণ চা আর গ্রিন টি’র মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে প্রক্রিয়াজতকরণে। অন্যান্য চা তৈরি করতে ‘ফারমেনটেইশন’ বা গাঁজন প্রক্রিয়া চালানো হয়ে, গ্রিন টি’র ক্ষেত্রে তা করা হয় না।

ফলে অন্যান্য চা থেকে গ্রিন টি’তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ও পলি-ফেনলস বেশি থাকে। তাই অন্যান্য চা থেকে গ্রিন টি’র উপকারিতা বেশি।

ওজন নিয়ন্ত্রন

গ্রিন টি হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর পলিফেনল শরীরের ফ্যাট অক্সিডেশন প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করে খাবার থেকে ক্যালরি তৈরি প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

ডায়বেটিস

খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে, যা প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে গ্রিণ টি। ফলে দেহে অতিরিক্ত চর্বি জমতে পারে না

হৃদরোগ

বিজ্ঞানীদের মতে, গ্রিন টি শরীরের প্রতিটি শিরায় কাজ করে। ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। তাই কোনো কারণে রক্ত চাপে পরিবর্তন হলেও কোন ধরনের ক্ষতি করে না। তাছাড়া এই চা রক্ত জমাট বাধতে দেয় না। ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা অনেক কমে যায়।

খাদ্যনালীর ক্যন্সার

গ্রিন টি খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও ভালো কোষগুলোর কোনো ক্ষতি না করে সার্বিকভাবে ক্যান্সারের কোষ নির্মূল করে।

কলেস্টেরল

গ্রিন টি শরীরের ক্ষতিকর কলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণও বাড়ায়।

দাঁতের সুস্থতা

গ্রিন টি’র ‘ক্যাটেকাইন’ নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ভিতরের বিভিন্ন ব্যকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করে। যা গলার ইনফেকশনসহ দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা কমিয়ে আনে।

রক্ত চাপ

নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে যায়।

হতাশা থেকে মুক্তি

প্রকৃতিকভাবেই ‘থিয়ানিন’ নামের অ্যামাইনো এসিড চা পাতায় পাওয়া যায়। এই উপাদান দুশ্চিন্তা ও হতাশা কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল

চায়ের ক্যাটেকাইন উপাদান অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে বেশ কার্যকর। ফলে ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত সব রকমের রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে অনেক রোগ বিস্তারেও বাধা দেয় গ্রিন টি।

ত্বকের যত্ন

মুখে বয়সের ছাপ ও বলিরেখা দূর করতে গ্রিন টি’র জুড়ি নেই। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামাটরি উপাদান ত্বকে বলি রেখা পড়তে দেয় না। তাছাড়া এটি ত্বকের রোদে পোড়াভাব কমাতে ও ব্ল্যাক হেডস দূর করতে সাহায্য করে।