কয়েকটি পিকনিট স্পট

আনন্দময় বনভোজনের জন্য জায়গা নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় আছে আকর্ষণীয় কিছু বনভোজন কেন্দ্র।

মুস্তাফিজ মামুনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2015, 12:51 PM
Updated : 23 Jan 2015, 12:55 PM

এরকম কয়েকটি বনভোজনকেন্দ্র নিয়ে লাইফস্টাইলের এবারের ভ্রমণ ফিচার।

নুহাশপল্লী

প্রয়াত কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের বাগানবাড়ি ও শুটিং স্পট নুহাশ পল্লী। ৯০ বিঘারও বেশি জায়গা নিয়ে এই নন্দন কানন বনভোজনের জন্য আদর্শ একটি জায়গা। নুহাশ পল্লী সাধারণত বনভোজনের জন্য ভাড়া দেওয়া হয় ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে।

এখানে আছে একটি ছোট আকারের চিড়িয়াখানা, সান বাঁধানো ঘাটসহ একটি বিশাল পুকুর, দৃষ্টিনন্দন কটেজ, ট্রি হাউস ইত্যাদি। নুহাশ পল্লীর ভেতরের বিশেষ আকর্ষণ হল এর ঔষধি গাছের বাগান।

এত সমৃদ্ধ ঔষধি বাগান এদেশে বিরল। নুহাশ পল্লীর ম্যানেজার বুলবুল জানালেন অনুর্ধ তিনশজনের জন্য নুহাশ  পল্লীর ভাড়া সরকারী ছুটির দিনে ৬০ হাজার টাকা। সাধারণ দিনে ৫০ হাজার টাকা। যোগাযোগ: ০১৭১২০৬০৯৭১।

ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান

ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান

গাজীপুর সদর ও শ্রীপুর থানা জুড়ে অবস্থিত ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। পৃথিবীর অন্যান্য জাতীয় উদ্যানের আদলে ৬৪৭৭ হেক্টর জমিতে ১৯৭৩ সালে এই উদ্যান সরকারীভাবে গড়ে তোলা হয়।

ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের মূল উদ্ভিদ হল শাল। এছাড়াও নানান রকম গাছ গাছালিতে পরিপূর্ণ এই উদ্যান। জাতীয় উদ্যানের ভেতরে রয়েছে বেশ কয়েকটি বনভোজন কেন্দ্র।

কেন্দ্রগুলো হল সোনালু, পলাশ, কাঞ্চন, মহুয়া, শিমুল, শিউলী, নিরিবিলি, বনশ্রী, বনরূপা, কদম, অবকাশ, আনন্দ ইত্যাদি। এসব বনভোজন কেন্দ্রের সঙ্গে আছে বিশ্রামাগার। পিকনিক স্পট কিংবা বিশ্রামাগার নির্দিষ্ট মূল্য পরিশোধ করে ব্যবহার করা যায়। যোগাযোগ: বন ভবন, মহাখালী, ঢাকা।

আনসার একাডেমি, সফিপুর

গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় অবস্থিত আনসার-ভিডিপি একাডেমিতে আছে বনভোজন করার সুযোগ। বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় বনভোজন কেন্দ্র আছে এখানে। প্রয়োজনীয় সব সুবিধাই পাওয়া যাবে।

শফিপুর আনসার একাডেমির কয়েকটি বনভোজন কেন্দ্র হল- চারশ জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন লেক ভিউ, ভাড়া ২০ হাজার টাকা। আটশ জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন তপোবন ও জুঁই, ভাড়া ১২ হাজার টাকা। তিনশ জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মালঞ্চ ও আনন্দ, ভাড়া ১২ হাজার টাকা। চারশ জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ছায়ানীড় ও হাসনাহেনা, ভাড়া ১২ হাজার টাকা। এছাড়া পাঁচশ জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন নিরিবিলি বনভোজন কেন্দ্রের ভাড়া ৮ হাজার টাকা। চারশ জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন পল্লব, ভাড়া ৮ হাজার টাকা। তিনশ জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন অনন্যা, অনামিকা, শাপলা, বর্ণালী, বর্ষা, তেতুলিয়া, বনরূপা, অবসর, ভাড়া ৮ হাজার টাকা। দুইশ জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন তনুশ্রী, তরুলতা, বান্দরবান, বনশ্রী, বনলতা, মধুবন ও সৌখিন, ভাড়া ৮ হাজার টাকা।

এছাড়া একশ জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন সূচনা বনভোজন কেন্দ্রের ভাড়া ৮ হাজার টাকা। এসব পিকনিক স্পটে আছে গাড়ি পার্কিং, রোদ ছাউনি, পানি সরবরাহসহ রান্নার ব্যবস্থা। যোগাযোগ: ০২ ৭২১৪৯৫১-৯

উৎসব পিকনিক স্পট

রাসেল পার্ক

ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রূপগঞ্জে রয়েছে মনোমুগ্ধকর এ পিকনিক স্পট। প্রায় ৩০ বিঘার মতো জায়গা জুড়ে এখানে রয়েছে সবুজের সমারোহ। রাসেল পার্কে রয়েছে তিনটি পিকনিক স্পট। এছাড়াও রাসেল পার্কের  ভেতরেই রয়েছে ছোট একটি চিড়িয়াখানা। নানান রকম পশুপাখি রয়েছে এ চিড়িয়াখানায়।

এখানকার ভিন্ন ভিন্ন চারটি স্পটে একদিনে সর্বোচ্চ পাঁচশ জন বনভোজন করতে পারেন। এছাড়া দিনে এখানে একটির বেশি দলকে বনভোজনের অনুমতি দেয়া হয় না। কটেজসহ সবগুলো স্পটের একদিনের ভাড়া ২৫ হাজার টাকা। যোগাযোগ: ০১৭১৫৪৬০৬৪।

উৎসব পিকনিক স্পট

ঢাকা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কের হোতাপাড়ার কাছেই এ বনভোজন কেন্দ্র। উৎসব পিকনিক স্পটে আছে খোলা চত্ত্বরসহ কয়েকটি কটেজ ও ট্রি হাউজ।

ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কের হোতাপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে সামান্য ভেতরে মণিপুরে এই পিকনিক স্পটের অবস্থান। ছয়শ জনের এক সঙ্গে বনভোজনের ব্যবস্থা আছে।

ভাড়া ছুটির দিনে ভ্যাটসহ ৪০ হাজার টাকা। অন্যান্য দিনে এবং লোক সংখ্যা কম হলে ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হয়। যোগাযোগ: ০১৭১৩২৬০৪৭১, ০২৮৬২৬৩৭৬।

যমুনা রিসোর্ট

রাঙামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্ট

গাজীপুরের চন্দ্রায় অবস্থিত আরেকটি রিসোর্ট ও বনভোজন কেন্দ্র রাঙামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট। এখানে আছে বনভোজন কেন্দ্র, সুইমিং পুল, লেকে মাছ ধরা ও নৌ ভ্রমণের ব্যবস্থা।

একসঙ্গে দুই হাজার জনের বনভোজনের ব্যবস্থা আছে। যোগাযোগ: কনকর্ড টাওয়ার, ফ্ল্যাট ৬০২, ১১৩, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভনিউ, বাংলামোটর, ঢাকা। ফোন: ০১৮১১৪১৪০৭৪।

যমুনা রিসোর্ট

ঢাকা থেকে ৯৫ কিলোমিটার এবং টাঙ্গাইল থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে বঙ্গবন্ধু সেতুর কাছেই আধুনিক একটি অবকাশ কেন্দ্র যমুনা রিসোর্ট। মূল রিসোর্টের পশ্চিম পাশে যমুনার তীর ঘেঁষে এখানে আছে সাজানো গোছানো বনভোজন কেন্দ্র।

এই জায়গায় বনভোজনে যেতে হলে আগে থেকে যোগাযোগ করতে হবে এই নম্বরে: ৮১৪২৯৭১-৩, ০১৭১১৮১৬৮০৭। 

ফ্যান্টাসি কিংডম

আশুলিয়ার জামগড়ায় গড়ে উঠেছে বিশ্বের আধুনিক সব রাইড নিয়ে বিনোদন কেন্দ্র ফ্যান্টাসি কিংডম। পাশেই হেরিটেইজ পার্কে আছে ঐতিহ্যের পরিপূর্ণ ভাণ্ডার।

ফ্যান্টাসি কিংডম

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর অনেকগুলোই চোখে পড়বে এখানে। এগুলো মূল স্থাপনার অবিকল আদলেই তৈরি করা হয়েছে।

এখানে দুটি জায়গায় বনভোজন করার জন্য রয়েছে সব ধরনে সুযোগ সুবিধা। যোগাযোগ: ০২ ৯৮৯৬৪৮২, ৮৮৩৩৭৮৬।

নন্দন পার্ক

সাভারের অদূরে চন্দ্রার বাড়ই পাড়ায় রয়েছে নন্দন পার্ক। এখানকার ড্রাই জোন ও ওয়াটার ওয়ার্ল্ডে মজার মজার সব রাইড উপভোগের পাশাপাশি বনভোজন করারও ব্যবস্থা আছে।

বনভোজনের জন্য বিভিন্ন রকম প্যাকেজও আছে। যোগাযোগ: ০১৭৫৫৬৬৭৭০৩, ০২ ৯৮৬২১৪৯

সুইস ভ্যালি রিসোর্ট

মৌলভীবাজারের শমশেরনগর বিমানবন্দরের পাশে অবস্থিত এ রিসোর্টে আছে আকর্ষণীয় একটি বনভোজন কেন্দ্র। আরও আছে কয়েকটি আধুনিক কটেজ।

যোগাযোগ: সুইস ভ্যালি রিসোর্ট, শমশেরনগর, মৌলভীবাজার। ফোন: ০১৭৮৬৪৯৩৭০০।