রেসিপি দিয়েছেন আনার সোহেল।
উপকরণ
বড় যে কোন মাছের মাথা, লেজর অংশ আর পেটি ২ থেকে ৩টি। কাঁচা বা লাল টমেটো ২টি, চারভাগ করা। আলু ২টি লম্বায় চারফালি করে কাটা। বেগুন ২-৩টি চারফালি করে কাটা। ফুলকপি ১ কাপ। কাঁচামরিচ সিদ্ধ করে বাটা ১ টেবিল-চামচ (ঝাল নিজের মতো করে নেবেন)। হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ। পেঁয়াজকুচি বড় ১টি। রসুনবাটা ১ চা-চামচ। পেঁয়াজবাটা ২ চা-চামচ। ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ। লবণ পরিমাণমতো। ধনেপাতার কুচি ইচ্ছামতে। লেবুর রস ২ টেবিল-চামচ। তেল ৩ টেবিল-চামচ রান্নার জন্য।
পদ্ধতি
প্রথমে মাছের মাথা ও অন্যান্য টুকরাগুলো হলুদ, লবণ ও লেবুর রস দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। গুঁড়ামসলাগুলো একটি বাটিতে অল্প পানি দিয়ে গুলে রাখুন।
এবার রান্নার হাঁড়িতে তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি দিন। একটু রং পরিবর্তন হলে রসুনবাটা ও পেঁয়াজবাটা দিয়ে নাড়ুন। এ সময় চুলার আঁচ মাঝারি রাখতে হবে।
এখন আগেই গুলে রাখা মসলা ও পরিমাণমতো লবণ দিয়ে ২ মিনিট কষাণ। প্রয়োজনে অল্প পানি দিন যেন মসলা পুড়ে না যায়।
এবার মাছের মাথা ও টুকরাগুলো দিয়ে নেড়ে মসলা মিশিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে, আগে আলু দিন।
এক মিনিট পর বেগুন ও ফুলকপি দিন। হালকাভাবে নেড়ে মিশিয়ে অল্প পানি দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে দিন।
দুই মিনিট পর পরিমাণমতো ঝোল দিন। এবার চুলার আঁচ বাড়িয়ে ঢাকনা দিয়ে তিন থেকে চার মিনিট রান্না করুন।
নামানোর আগে টমেটোর টুকরা, ধনেপাতার কুচি দিয়ে, লবণ চেখে নিয়ে নামিয়ে নিন।
পরিবেশন করুন গরম ভাতের সঙ্গে।
* কাঁচামরিচ সিদ্ধ করার সময় এক চিমটি হলুদ ও একটু লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে , ১টি ছোট পেঁয়াজকুচি দিয়ে বেটে নিন বা ব্লেন্ড করে নিন। এতে রান্নায় রংটা দারুণ হয়।