উজ্জ্বল ত্বকের ঘরোয়া মাস্ক

রংফর্সাকারী ক্রিমের কি দরকার!

তৃপ্তি গমেজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Jan 2015, 10:48 AM
Updated : 21 July 2016, 12:07 PM

দূষণ ও ক্লান্তির কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। তাই অনেকেই ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে শুরু করেন বাজারে সহজলভ্য রং ফর্সা করা প্রসাধনী।

তবে এসব পণ্যে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয় যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই ত্বকের যত্নে ঘরোয়া মাস্ক ব্যবহার করা সব থেকে বেশি উপকারী।

রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে কার্যকর কিছু মাস্ক তৈরির উপায় সম্পর্কে জানানো হয়। মাস্কগুলো প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি।

এই প্রতিবেদনে এমনই মাস্ক তৈরির পদ্ধতি দেওয়া হল।

মধু ও লেবুর ফেইস মাস্ক

এক টেবিল-চামচ মধুর সঙ্গে এক টেবিল-চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে মিশ্রণটি পুরো মুখে ও গলায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। শুকিয়ে আসলে ১৫ মিনিট পরে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

ময়দার ফেইস মাস্ক

গম ছোলা, ডাল, ভুট্টা ইত্যাদি যে কোন শস্যের তৈরি ময়দা ২ টেবিল-চামচ, এক চিমটি হলুদগুঁড়া এবং পরিমাণ মতো দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে।

যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা এ মিশ্রণের সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মেশাতে পারেন। মিশ্রণটি তৈরি করার পর পরিষ্কার মুখে ও গলায় লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে  হবে।

মাস্কটি শুকিয়ে গেলে হালকা হাতে স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

গুঁড়াদুধের ফেইস মাস্ক

এক চামচ গুঁড়াদুধ, এক চামচ মধু এবং এক চামচ লেবুর রস একটি পরিষ্কার পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। মুখ ও গলা ভালোভাবে পরিষ্কার করে মিশ্রণটি লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে  ধুয়ে ফেলতে হবে।

শসা ও লেবুর রসের ফেইস মাস্ক

এক চামচ শসার রস ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে এই মাস্ক তৈরি করতে হবে। মাস্কটি মুখে ও গলায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে।

টমেটো এবং  ময়দার ফেইস মাস্ক

দুই চামচ ময়দা এবং দুই থেকে তিন চামচ টমেটোর রস নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। মুখে ও গলায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর তা ধুয়ে ফেলতে হবে।

উপরের প্রতিটি মাস্ক তৈরির উপাদানই আমাদের হাতের কাছেই পাওয়া যায়। মাস্কগুলো তৈরি করতে ঘরে সহজলভ্য এমন দু’ থেকে তিনটি উপকরণ প্রয়োজন হয়। আর মাস্কগুলো সহজে এবং চটজলদি ব্যবহার উপযোগী।

এই মাস্কগুলো ব্যবহারে ত্বকের কোন ধরনের ক্ষতি হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে না।

ভালো ফলাফলের জন্য প্রথম পর্যায়ে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এবং পরের মাসে দুই থেকে তিনবার এই মাস্কগুলো ব্যবহার করা যাবে।

প্রতীকী ছবির মডেল: এমি। ছবি: অপূর্ব খন্দকার।