আদরে গড়া ভবিষ্যত

মেরিলে বেবি’র সৌজন্যে নবম আয়োজনে অংশ নিয়েছিল ৫০ পরিবার।

মামুনুর রশীদ শিশিরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2014, 01:08 PM
Updated : 21 Jan 2015, 03:13 PM

৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা, রাজধানীর ধানমণ্ডিতে অবস্থিত ম্যারিয়ট কনভেনশন সেন্টারে ঢুকেই শোনা গেল বাচ্চাদের কোলাহল। তবে কোন বিয়ের অনুষ্ঠান নয়, চলছিল স্কয়্যার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্র্যান্ড মেরিল বেবি আয়োজিত ‘মেরিল বেবি আদরে গড়া ভবিষ্যত ২০১৩ কার্যক্রম’-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছিল বাচ্চাদের ছোটাছুটি, পেছনে ছুটছিলেন তাদের বাবা-মা। এক বাচ্চা তো সরাসরি মঞ্চেই উঠে পড়ল, শুরু করে দিল নাচানাচি।

এবারের অনুষ্ঠানটি ছিল মেরিল বেবি আদরে গড়া ভবিষ্যতের নবম আয়োজন। সারাদেশের অসংখ্য পরিবার তাদের আদরের সোনামণিকে নিয়ে আদরের মুহূর্তের ছবি পাঠিয়ে অংশগ্রহণ করেন এ কার্যক্রমে। এর মধ্য থেকে দুই ধাপের বিচারকাজ শেষে নির্বাচন করা হয় ৫০টি পরিবার।

বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চলচ্চিত্র পরিচালক ক্যাথরিন মাসুদ এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির মহাপরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বিচারকদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্কয়্যার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের হেড অফ মার্কেটিং মালিক মোহাম্মদ সাঈদ ও অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ। উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল্লাহ জাফর।

অনুষ্ঠান শুরু হয় চার সদস্যের একটি ছোট্ট পরিবারের গান পরিবেশনের মাধ্যমে। এরপর দেখানো হয় মেরিল বেবি আদরে গড়া ভবিষ্যতের বাছাইকাজের কিছু অংশের ভিডিওচিত্র। সন্তানের লালন-পালন নিয়ে অংশগ্রহনকারীদের লিখে পাঠানো বিভিন্ন অনুভুতির কথা তুলে ধরেন বিচারকরা। বিশ্বব্যাপী মায়েদের সম্মান জানাতে গান পরিবেশন করেন ম্যাজিক বাউলিয়ানা। আর বাবা ও তার সন্তানের মধ্যকার সম্পর্ককে তুলে ধরতে মিলিতভাবে গান পরিবেশন করেন তপন চৌধুরী ও পড়শী।

সবশেষে ফলাফল ঘোষণার পালা। বিজয়ী হন চট্টগ্রাম থেকে আসা মৌসুমি দেব। দ্বিতীয় স্থান দখল করেন সিলেটের আজাদ মিয়া। বিজয়ী পরিবারকে দেওয়া হয় একটি ক্রেস্ট ও দশ লাখ টাকার শিক্ষা বীমা। আর দ্বিতীয় পুরস্কার ছিল ক্রেস্ট ও পাঁচ লাখ টাকার শিক্ষা বীমা।

এছাড়াও বাছাইকৃত অন্যান্য পরিবারগুলো দেওয়া হয় ৫ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড।

ছবি: শিশির।