শীতের সময় আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ার কারণে স্বাভাভিকভাবেই মানুষের ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। ঠোঁটের ত্বক আরও বেশি নমনীয় হওয়ার কারণে শীতের শুষ্কতা ঠোঁটের ত্বকের জন্য আরও বেশি ক্ষতিকর।
শুষ্ক আবহাওয়ায় কারণে এই মৌসুমে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায় এবং ঠোঁট ফাটা বা চামড়া ওঠার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
তাই অনেকেই ঠোঁটের আর্দ্রতা ও নমনীয়তা ধরে রাখার করে লিপবাম ব্যবহার করেন। যা করা একদমই উচিত নয়। কারণ সব ধরণের লিপবাম ঠোঁটের জন্য উপযুক্ত নয়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে, ফিলিপিনসের ম্যানিলা শহরের চর্মরোগবিশেষজ্ঞ ভারমেন ভেরাল্লো রাওয়েল ঠোঁট শুষ্ক হওয়া থেকে প্রতিকার এবং কোন ধরণের লিপবাম ঠোঁটের জন্য ভালো সে সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দেন।
ঠান্ডা মৌসুমে ঠোঁট শুষ্ক হওয়ার প্রবনতা স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে থাকে। ঠোঁটের আদ্রতা কমে যাওয়ার একটি বড় কারণ হচ্ছে এই সময়ে ত্বকে পানি সরবারহের পরিমাণ কম থাকে। এছাড়া পরিবেশ যেমন, ঘরের ভিতর হিটার ব্যবহার করলে এবং বেশি গরম পানি দিয়ে গোসল করার ফলেও এমনটা হতে পারে।
পাশাপাশি ঠোঁটের ভিতর থাকা সাবেইসাস গ্রন্থির ঘাটতি থাকলেও ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। সহজভাবে বলা যায়, ঠোঁটের আদ্রতা ধরে রাখার মতো তরলে ঘাটতি হলেই ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
রাওয়েল জানান, বেশিরভাগ লিপবামেই অ্যালার্জি হতে পারে এমন উপাদান থাকে যা ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের ত্বকে অস্বস্তি বোধ হতে পারে এবং ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
তাছাড়া অনেক সময় লিপবামগুলোতে ত্বকে শীতল অনুভূতির জন্য পুদিনা বা মিন্ট উপাদান দেওয়া হয়। লিপবামে বৈচিত্র্য আনার জন্য বিভিন্ন রং যুক্ত করা হয় এবং এই প্রসাধনী দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য বেনজাইল অ্যালকোহল, লানোলিন ও প্রপাইলিন গ্লাইকল ব্যবহার করা হয় যা ত্বকের উপকারের থেকে অপকারই করে বেশি।
রাওয়েল বলেন, “যেসব লিপবামে এসব উপাদান থাকে সে সব লিপবাম স্বল্পসময়ের জন্য ত্বক শীতল এবং তৈলাক্ত রাখতে সাহায্য করে। তবে এধরণের উপকরণ যুক্ত লিপবাম ব্যবহারে ধীরে ধীরে ঠোঁট আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।”
তিনি আরো বলেন, “নারকেল তেল সমৃদ্ধ লিপবাম ঠোঁটের জন্য ভালো। কারণ নারকেলে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান। তাছাড়া নারিকেল তেলের সঙ্গে পেট্রোলাটাম যুক্ত করেও লিপবাম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।”
ছবি: রয়টার্স।