ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে চার খাবার

কিছু খাবার স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

কামরুন নাহার সুমিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Nov 2014, 12:45 PM
Updated : 16 Nov 2014, 09:45 AM

সাধারণত পঞ্চাশোর্দ্ধ মহিলাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। তাছাড়া বংশগত কারণে অল্পবয়সী মেয়েদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আগে থেকেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে থাকলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতে পারে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে কানাডীয় পুষ্টিবিদ ও ফিজিকল এডুকেশনের ডা. কেভিন জে মিকলফলিন স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জানান।

গ্রিন-টি

সাম্প্রতিক সময়ে সমীক্ষায় দেখা গেছে ‘গ্রিন টি’ বিভিন্ন রকম ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে। এরমধ্যে আছে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল, প্রোস্টেইট ক্যান্সার, স্তন ও ফুসফুসের ক্যান্সার। এই চা হয়ত ক্যান্সারের জন্য দায়ী ‘ফ্রি-রেডিকেলস’ শুষে নিতে পারে। আর কেমোথেরাপির ওষুধের সুবিধা উন্নত করে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।

ক্রুসিফেরাস সবজি

ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকলি, সু্ইচ চাড বা বিট এই ধরনের সবজিতে থাকা ফাইটোকেমিকল ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। এই শক্তিশালী কেমিকল ‘ফ্রি রেডিকেলস’ সংগ্রহ করে এবং তাদের প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করে। আর শরীরের হরমোনের সঙ্গে ক্যান্সারের কোষ বন্ধনে বাধা দেয়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এই কেমিকলের ইন্ডোল-থ্রি কার্বিনল উপাদান স্তন ক্যান্সারের কোষগুলো বাড়তে দেয় না। এছাড়া অন্য একটি উপাদান সালফোরাফেইন ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।

অলিভ অয়েল

স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে অলিভ অয়েল বেশ কার্যকর। প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হাইড্রোওক্সিটাইরোসোল ফাইটোক্যামিকলের উৎস হল জলপাইয়ের তেল। এই উপাদান স্তন ক্যান্সার হওয়ার জন্য অন্যতম মুখ্য কারণ ‘ইনফ্লামাটোরি অ্যানজিওজেনেসি’ প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে।

রসুন

বহু শতাব্দী ধরেই পূর্ব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রসুনকে ‘অলৌকিক ঔষুধি’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ রসুন স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতেও সাহায্য করে। যেসব অঞ্চলের মানুষ বেশি রসুন খায় তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ‍ঝঁকি কম। এটা কোনো কাকতালীয় বিষয় নয়।

রসুনের অন্যতম উপাদান সালফারের অ্যালিয়াম যৌগই ঔষুধি গুণসম্পন্ন। রসুনে থাকা রাসায়নিক পদার্থ সরাসরি ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয় এবং যেসব যৌগিক পদার্থের জন্য ক্যান্সার হয় তা থেকে দেহের কোষগুলোকে রক্ষা করে।