এই উপলক্ষে পাঁচ দিনের একটি মেলাও বসে দুবলার চরে। এই বছর রাস মেলার শুরু ৬ নভেম্বর থেকে। রাসমেলা দেখার সঙ্গে সঙ্গে তাই সুন্দরবন থেকেও বেড়িয়ে আসতে পারেন।
সুন্দরবন ঘেঁষে বঙ্গোপসাগরের কোলে জেগে ওঠা ছোট্ট দ্বীপ দুবলার চর। কুঙ্গা এবং মরা পশুর নদীর মোহনার এই চরে বহুকাল ধরে চলে আসছে রাস মেলা। দুবলার চরের রাস মেলার ইতিহাস নিয়ে নানান মত প্রচলিত আছে।
আবার কারও কারও মতে, শারদীয় দুর্গোৎসবের পর পূর্ণিমার রাতে বৃন্দাবনবাসী গোপীদের সঙ্গে রাসনৃত্যে মেতেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। এ উপলক্ষেই দুবলার চরে পালিত হয়ে আসছে রাস উৎসব।
মেলার মূল প্রার্থনা হয় ভোরের প্রথম জোয়ারে পুণ্য স্নানের মধ্য দিয়ে। এইদিন সূর্য ওঠার আগেই সমুদ্রের বেলাভূমিতে প্রার্থণায় বসেন পুণ্যার্থীরা। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রেও জোয়ার শুরু হয়। জোয়ারের পানি পুণ্যার্থীদের ছুঁলেই স্নানে নামেন তারা। তিন মাস বিরতির পর সুন্দরবনে মাছ ধরার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় রাস মেলার এই প্রার্থনার মধ্য দিয়ে।
দুবলার চরে কয়েক হাজার জেলের বসবাস। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে এসব জেলেরা এখানে সাধারণত শুঁটকি তৈরি করেন। এ জায়গায় তাই দেখা যাবে জেলেদের জীবনধারা। এছাড়া জেলেদের মাছ ধরার নানান দৃশ্য আর কলাকৌশলও দেখা যাবে দুবলার চরে।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক রফিকুল ইসলাম নাসিম জানালেন, এ বছর রাস মেলায় বিশেষ ছাড়ে ভ্রমণ প্যাকেজের ব্যবস্থা করেছে তারা। ৫ নভেম্বর থেকে শুরু হবে এ ভ্রমণ। খুলনা-সুন্দরবন-খুলনা, ৩ দিন ২ রাতের এ ভ্রমণে জনপ্রতি খরচ হবে ৯ হাজার ৫শ' টাকা, বিদেশিদের জন্যে ১৩ হাজার ৫শ' টাকা।
খুলনা থেকে বেঙ্গলের নিজস্ব জলযানে চেপে দুবলার চর, নীলকমলসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ। ভ্রমণ মূল্যে অন্তর্ভুক্ত খুলনা-সুন্দরবন-খুলনা যাতায়াত, লঞ্চের দ্বৈত কেবিনে থাকা, ভ্রমণকালীন খাবার, সুন্দরবনে প্রবেশ মূল্য, অস্ত্রসহ নিরাপত্তা কর্মী, গাইড সেবা প্রভৃতি।
যোগাযোগ: বাড়ি ৪৫, রোড ২৭, ব্লক এ, বনানি, ঢাকা। ফোন ০১৭৭৫১০৫৩৫১।