চুল পড়ার কারণ

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, শরীরে পুষ্টির অভাব ইত্যাদি কারণে চুল পড়ে যেতে পারে। এছাড়াও কিছু কিছু বাহ্যিক কারণেও চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। আবার বদঅভ্যাস, ‘হেয়ার স্টাইলিং’ ইত্যাদি কারণেও চুল পড়ে।

কামরুন নাহার সুমিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Oct 2014, 11:23 AM
Updated : 16 Oct 2014, 11:23 AM

স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি সাইটে চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়।

গরম পানিতে গোসল করা

গরম পানিতে গোসল করার কারণে ত্বকের মতো চুলও শুষ্ক হয়ে যায়। তাছাড়া এতে করে চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চুল পড়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।

গরম স্টাইলিং মেশিন ব্যবহার

চুলের বিভিন্ন স্টাইল করার জন্য প্রায়ই কিছু মেশিন ব্যবহার করা। আর এসব মেশিনের গরম তাপ চুল গজানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও মাথার ত্বকের বাইরের স্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে ত্বকের আদ্রতা কমে যায় এবং চুল ফেটে যাওয়ার প্রবণতা অনেক গুণ বেড়ে যায়।

হেয়ার স্ট্রেইটনার, হেয়ার ড্রাইয়ার ইত্যাদি হেয়ার স্টাইলিং টুলস ব্যবহার যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া উচিত।

শক্ত করে চুল বাঁধা

বাইরে বের হওয়া বা ঘুমানোর সময় চুলে শক্ত করে বেণি করার অভ্যাস আছে অনেকেরই। তবে এটি চুলের জন্য ক্ষতিকর। কারণ শক্ত করে চুল বাঁধলে চুলের গোড়ায় বেশি পরিমাণে চাপ পড়ে যা ত্বকের লোমকূপ ক্ষতিগ্রস্ত করে। এতে করে অনেক সময় লোমকূপ স্থায়ীভাবে দুর্বল হয়ে যায় এবং চুল গজানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলস্বরূপ, মাথায় টাকও পড়ে যেতে পারে।

এ পরিস্থিতি এড়াতে যথাসম্ভব হালকা করে চুল বাঁধতে হবে। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর সময় চুল শক্ত করে বাঁধা উচিত নয়।

হেয়ার স্টাইলিংয়ে  ব্যবহৃত প্রসাধনী

হেয়ার স্প্রে বা জেল ব্যবহারের কারণে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। কেননা হেয়ার স্প্রে বা জেলে অ্যালকোহলের মাত্রা বেশি থাকে যা চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর করে ফেলে। তাছাড়া এই প্রসাধনীগুলো দীর্ঘ সময় চুলের উপর আস্তরণের মতো লেগে থাকে। এতে করে চুল দুর্বল হয়ে যায়। যার কারণে চুল আঁচড়ানোর সময় চুল পড়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।

চুল শক্ত বা চটচটে করে এমন পণ্য ব্যবহার না করে চুলের আদ্রতা রক্ষাকারী স্টাইলিং ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। এতে করে চুল আঁচড়ানোর সময় চুল পড়ে যাবে না।

চুল ঠিকভাবে পরিষ্কার না করা

চুল পরিষ্কার রাখতে একদিন পর পর শ্যাম্পু করা উচিত। কেননা চুল নিয়মিত পরিষ্কার না করলে চুলে খুশকির পরিমাণ বেড়ে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাতে পারে। যা নতুন করে চুল গজাতে বাঁধা সৃষ্টি করে।

ওষুধ খাওয়া

অনেকেই হতাশা, উদ্বেগ থেকে রক্ষা পেতে বা হরমোন সংক্রান্ত কারণে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকেন। যা চুলকে স্বাভাবিক নিয়মে বাড়তে দেয় না এবং চুল পড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এ পরিস্থিতি এড়াতে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ভিজা চুল আঁচরানো

অনেকেই ভিজা চুল আঁচরিয়ে থাকেন। তবে ভিজা অবস্থায় চুলের গোড়া অনেক দুর্বল থাকে তাই সহজেই চুল ভেঙে যায়। আবার ভিজা চুল মোছার ক্ষেত্রে জোরে টাওয়াল দিয়ে ঘষে চুল মুছলেও চুল ঝরে পড়তে পারে। তাই ভিজা চুল মোছার জন্য নরম টাওয়াল দিয়ে হালকা করে চেপে চুল মুছতে হবে।