রূপচর্চা বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ফলের প্যাক সম্পর্কে জানানো হয়।
আপেল
বাজারে সহজে পাওয়া যায় এমন ফলের মধ্যে আপেল অন্যতম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এর ভিটামিন বি ত্বকে চুলকানি, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যা থেকে রক্ষা করে। পুষ্টিকর খাবার হিসেবেই নয়, রূপচর্চায়ও আপেল দারুণ কার্যকর।
প্যাকটি তৈরি করতে প্রথমে একটি আপেল ছোট ছোট করে কেটে ব্লেন্ডারে মিহি করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। তারপর আপেলের পেস্টের সঙ্গে ২ টেবিল-চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে চোখের চারপাশ এড়িয়ে পুরো মুখে লাগাতে হবে। প্যাকটি লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে কিছুটা শুকিয়ে গেলে, কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এই প্যাক ত্বক উজ্জল, মসৃণ ও প্রাণবন্ত করে তুলতে দারুণ কার্যকর।
কুমড়া
পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি হল কুমড়া। খাবারের পুষ্টিগুণের পাশাপাশি রূপচর্চায়ও ব্যবহার করা যায়। ত্বকে বলিরেখা থেকে বাঁচায় কুমড়ার ভিটামিন এ, সি ও ই উপাদানগুলো। তাছাড়া এর বেটা-ক্যারটিনও ত্বকের জন্য উপকারী।
মিহি করে পেস্ট করা দেড় কাপ কুমড়া ও ১ কাপের চার ভাগের ১ ভাগ পরিমাণ টক দইয়ের সঙ্গে ১ টেবিল-চামচ মধু এবং ১ টেবিল-চামচ বিশুদ্ধ অলিভ অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে পরিষ্কার ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে। ১০ মিনিট অপেক্ষা করে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলুন। এরপর নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলতে হবে। প্যাকটি লোমকূপের গভীর থেকে ময়লা পরিষ্কার করে ত্বক সতেজ করবে।
আঙুর
এই ফলের রস দিয়ে ভালো প্যাক তৈরি করা যায়। আঙুরের রসে আছে স্যালিসাইলিক এসিড এবং এটি ত্বক পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে।
আধা কাপ ওটস বা কর্নমিল, আধা কাপ দই ও ১ কাপের চারভাগের একভাগ আঙুরের রসে ভালোভাবে মিশিয়ে ঘন না হওয়া পর্যন্ত ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। তারপর প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ২ মিনিট ধরে আলতো হাতে ঘষলে ত্বকের ময়লা এবং মৃত কোষ উঠে আসবে। এটি ঘরে তৈরি স্ক্রাবার হিসেবেই কাজ করে।
লেবু
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং অসম রং ঠিক করতে লেবু কার্যকর একটি উপাদান। লেবুর রস খুব সহজেই হাতের কনুই, হাঁটু ও ব্রণের দাগ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে।
একটি লেবু অর্ধেক করে কেটে প্রতিদিন হাতের কনুই ও হাঁটুর কালো দাগের উপর হালকাভাবে ঘষলে কালচে দাগ কমে যাবে। পাশাপাশি ব্রণের দাগ হালকা করতেও লেবু সমান উপকারি।
দাগের জায়গায় লেবুর রস লাগিয়ে রস শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।
তবে আঘাত বা কাটা জায়গায় লেবুর রস লাগানো উচিত নয়। খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত সময় ত্বকে লেবুর রস লাগিয়ে না রাখা হয়।