যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের মনোরোগ ও স্নায়ুবিজ্ঞানের অধ্যাপক সুবিমল দত্ত বলেন "ঘুম-জাগার ব্যাঘাত কয়েক মাস পর্যন্ত থাকতে পারে। এমনকি 'পান' করা বন্ধ করে দিলেও কয়েক বছর ধরে এই সমস্যা হতে পারে। এরমানে হলো অনেকদিন ধরে অ্যালকহল সেবন করলে ঘুমের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।"
নিয়মিত 'পান' করলে, খাওয়া বন্ধ করার মধ্যে থাকলে বা বিরত থাকলে ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে।
অনেকদিন ধরে অ্যালকহল সেবনের ফলে কেমিকেলের প্রভাবে মস্তিষ্কের নিউরন উত্তেজিত হয়, একই সঙ্গে কেমিকেলের প্রভাব কমার ফলে নিউরনের কার্যকলাপে বাধা তৈরি করে।
গবেষণার প্রাপ্ত ফলাফলে বলা হয়, মস্তিষ্কে কেমিকেলের অতিরিক্ত কার্যকলাপের ফলে সাধারণ ঘুম চক্রে বাধা তৈরি করে।
দত্ত জোর দিয়ে বলেন, "মস্তিষ্কের কার্যকলাপের উপর প্রভাব বিস্তার করার নির্দিষ্ট পদ্ধতি চিহ্নিত করার ফলে অ্যালকহল পান করে যাদের ঘুমের ব্যঘাত হচ্ছে তাদের জন্য কার্যকরী ওষুধ তৈরি করতে সাহায্য করবে।"
পর্যালোচনা করা প্রতিবেদনটি অনলাইনে বিহেইভিয়রল ব্রেইন রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত হয়।