তাড়কা নয়, 'তাড়্কা'!

স্বাদে মিল থাকায় ভারতীয় খাবারের প্রতি আমাদের আগ্রহ সম্ভবত নতুন কিছু নয়। ঢাকা শহরে ভারতীয় খাবারের রেস্তোরাঁর সংখ্যা তাই নেহায়েত কমও নয়। 

মিথুন বিশ্বাসবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2014, 01:00 PM
Updated : 29 Sept 2014, 01:00 PM

বনানী ১০ এর ৬২ নম্বর বাড়িতে তাড়্কা রেস্তোরাঁর পথচলা শুরু হয়েছে চলতি বছরের মার্চ মাসে।

ঢুকতেই চোখে পড়বে রেস্তোরাঁর বাইরে বসার অংশ। একটু আশপাশ খেয়াল করলে ২ গজের মধ্যের তফাৎটি টের পাবেন। মনে হতে পারে বুঝি ‘বিনিপয়সায়’ বর্ডার ক্রস করেছেন।

বসার ব্যবস্থা ‘খাটিয়া’ ধরনের বেঞ্চ। আর টেবিল দেখলে পুরানো রাজপরিবারের কথা মনে করিয়ে দেয়। পাশের হালকা লালচে রংয়ের একটু ভাঙা দেয়ালে চোখ পড়লে ভাবতে পারেন হয়তো বসে আছেন উত্তরপ্রদেশের কোনও মফস্বল শহরে!

ভেতরটা একটু বেশিই ‘প্লেইন’! অন্তত বাইরের তুলনায়। তবে কাচের ভেতর দিয়ে রান্নাঘরের কর্মকাণ্ড বেশ খানিকটা দেখা যাবে সহজেই।

এখানকার ম্যানেজার কুতুবউদ্দিন জিকো এই রেস্তোরাঁর শুরু থেকেই আছেন। জানা গেল এর আগে ৭ বছর কাজ করেছেন চট্টগ্রামের একটি স্বনামধন্য রেস্তোরাঁয়।

তিনি জানান ভেতরে ৭০ জন আর বাইরে ১৬ জন বসতে পারবেন।  

তিনজন ভারতীয় শেফের নেতৃত্বে চালিত হয় রসুইখানা। আর তাই খাবারে ‘ভারতীয়’ ঘরানাটি নাকি টের পাওয়া যাবে বলেই দাবি করলেন রেস্তোরাঁর এই ব্যবস্থাপক।

স্টার্টারে চিকেন বা চিংড়ি পাকোড়া ভালো লাগবে।

আর তান্দুরি চিকেন পরিবেশন করা হয় স্টিলের একটি পাত্রে। তবে যে প্লেটে খাবেন তা সিরামিকের, সঙ্গে কাটা-চামচ! সঙ্গে আসবে হালকা সালাদ ও পুদিনার ঝাল-চাটনি।

তন্দুরি চিকেন খেয়ে বোঝা গেল মুরগি বেশ ফ্রেশ আর একে মেরিনেইট করা হয় প্রায় ৮ ঘন্টা ধরে। জানান এখানকার দুই ভারতীয় শেফ সামসাদ ও মোস্তাক আলম।

এই সহোদর জানান তাদের আদি-নিবাস ঝাড়খান্ডে হলেও বেড়ে উঠেছেন কলকাতায় আর কাজও করতেন ওই শহরের রেস্তোরাঁয়।   

গার্লিক নানের গন্ধ মুগ্ধ করার মতো। রুমালি রুটির স্বাদও বেশ ভালো লাগবে। তান্দুরি চিকেনের মসলা ও ‘পোড়া’ গন্ধ মিলেও বেশ ভালো লাগবে। ফুল চিকেন পড়বে ৪৯৯ টাকা।

টেংরি, রেশমি, বটি ছাড়াও আছে ভুপালি কাবাব। আছে গরু ও খাসির মাংসের বেশ কয়কটি পদ।

মেন্যুতে উত্তর ভারতের খাবারের আধিক্য থাকলেও যারা দক্ষিণ ভারতীয় খাবার ধোসা খেতে পছন্দ করেন তারাও নিরাস হবেন না। সাত রকমের ধোসা আছে এখানে, খরচ পড়বে ১৫০ থেকে ২৭০ টাকা।

সবজিতে ঝোঁক যাদের তাদের জন্য আদর্শ ‘পালাক পানির’, পালংশাক ও পনিরের মিশ্রণে বানানো এই খাবার। আর তাড়্কা ডাল ২৯০ টাকায় মিলবে।

মিঠাই হিসেবে কুলফি বেশ জনপ্রিয় এখানে, জানালেন ম্যানেজার কুতুবউদ্দিন।

যেখানে একটি আস্ত মুরগির চারভাগের একভাগ পাওয়া যায় ১৫০ টাকায় সেখানে ‘নিম্বু’ পানির দাম ৯০ টাকা কেন? এর সদোত্তর পাওয়া গেছে বললে ভুল হবে।

জিরা পানিও ৮০ টাকা। তবে সফট ড্রিংকসের দাম এখানে ধরা আছে ৪০ টাকায়।

তাড়্কা খোলা থাকে সাড়ে ১২টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত।