চার খাদ্যপ্রাণ

শরীরে যদি প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান না পায় তবে যতই ব্যয়াম করুন, পেশি সুগঠিত হবে না।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2014, 01:14 PM
Updated : 28 Sept 2014, 02:21 PM

সুন্দর দেহের অধিকারী হওয়ার জন্য শরীরচর্চার পাশাপাশি ভালো ও সঠিক পুষ্টিগুণে ভরা খাবারও দরকার। সম্প্রতি ফিমেলফার্স্ট ডটকো ডটইউকের একটি প্রতিবেদনে চারটি খাদ্যপ্রাণের নাম উল্লেখ করা হয়। যা শরীরের পেশি গঠনে সাহায্য করে। 

ভিটামিন সি

শরীরের ধমনী পুষ্ট রাখার পাশাপাশি পেশিতে পুষ্টি ও অক্সিজেন সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। শরীরে যত বেশি ভিটামিন সি থাকবে তত ভালোভাবে পেশি কাজ করার পাশাপাশি ব্যয়ামের পর দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করবে। সেই সঙ্গে পেশির জোর বাড়তে ও সুগঠিত করতেও ভিটামিন সি প্রয়োজন।

লেবু ও কমলালেবুর পাশাপাশি স্ট্রবেরি, বিভিন্ন প্রকার শাক, কিউই ফ্রুট, এবং বেল পেপারস (ক্যাপসিকাম)—ভিটামিন সি'র ভালো উৎস।

ক্যালসিয়াম

মজবুত হাড় ও শক্তিশালী পেশি তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই পুষ্টি উপাদান। ব্যয়ামের সময় সংকোচন প্রসারণের ফলে পেশি সুগঠিত হয়। তবে ক্যালসিয়ামের অভাবে শরীর, পেশিতে সংকোচন প্রসারণের তথ্য পাঠাতে পারে না। এর মানে পেশিগুলো ভালোমতো শরীরচর্চায় সাড়া দিতে পারে না। তখন সুগঠিত পেশি গড়তে গিয়ে শরীরে চাপ পড়ে।

ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস হল: পনির, দুধ, ব্রকলি ও কাঠবাদাম।

ভিটামিন ডি

পেশি গড়তে, বাড়াতে, কার্যক্ষম করতে, শক্তির জন্য খুবই প্রয়োজনীয় এই খাদ্যপ্রাণ। তাই শরীরচর্চার মাধ্যমে যদি ভালো ফল পেতে চান তবে খাদ্যতালিকায় এমন খাবার রাখুন যেগুলোতে ভিটামিন ডি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।

ভিটামিন ডি'র ভালো উৎস হচ্ছে মাছ এবং মাছের তেল, ডিম ও মাশরুম।

প্রোটিন

পেশি গঠনের চাবিকাঠি হচ্ছে প্রোটিন। শরীরচর্চার পর পেশির পুনর্গঠিত করতে সাহায্য করে এই খাদ্যপ্রাণ।

তৈলাক্ত মাছ, চর্বিবিহীন মাংস (টার্কি বা মুরগির মাংস), তফু, পনির এবং ডিম প্রোটিনের ভালো উৎস।