পূজার সবচেয়ে বড় আনন্দ মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে বেড়ানো। তবে উৎসবের আনন্দে শুধু ঘুরে বেড়ালেই হয় না, পাশাপাশি নিজের সাজ-পোশাকের দিকেও নজর রাখতে হবে।
সপ্তমির সাজ নিয়ে জানাচ্ছেন শিবানিজ অ্যারোমা বিউটি সেলুনের রূপবিশেষজ্ঞ শিবানী দে।
শারদীয় দুর্গাপূজার ষষ্ঠী থেকে দশমী, পাঁচ দিন, সাজা যাবে ইচ্ছেমতো। পোশাক হতে পারে দেশি কিংবা পাশ্চাত্য ঢঙে। তবে এখানে একটু কথা আছে। সাজতে হবে আপনার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ, রুচি ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিলিয়ে। একেক দিন একেকটি রং। পাঁচদিন ভিন্ন ধরনের সাজ।
এর মধ্যে আবার রাত-দিনের তফাতটাও মনে রাখতে হবে। পূজায় উৎসবের আমেজ থাকে বেশ কয়েক দিন। সাজার সুযোগটা তাই বেশি। আধুনিক, ঐতিহ্যবাহী, ক্লাসিকাল— যে কোনোভাবেই নিজেকে সাজিয়ে তোলা যায়।
পোশাকের মধ্যে হাল্কা নীল, আকাশি, সি-গ্রিন বা নেভি ব্লু রংয়ের পোশাক নির্বাচন করু্ন।
এছাড়া হালকা ছাপার সুতি শাড়ি বা একরঙা পাড়ের শাড়ি পরতে পারেন।
দিনের উৎসবে মেইকাপের বেইজ করার জন্য ত্বকের টোনের সঙ্গে মিলিয়ে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার বা খুব হালকা করে ফাউন্ডেশন লাগাতে পারেন। ফাউন্ডেশন হালকা করার জন্য এতে কিছুটা জল মিশিয়ে নিন। খুব অল্প পরিমাণে লাগিয়ে এর উপর পাউডার বুলিয়ে নিন।
তবে মেইকআপের শুরুতে ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে সানস্ক্রিন লোশন লাগাতে ভুলবেন না।
দিনে চোখের সাজে অফ হোয়াইট হাইলাইট, কালো ও বাদামি রংয়ের মিশ্রণে আইশ্যাডো, পেন্সিল আইলাইনার ব্যবহার করতে পারেন। অথবা চাইলে শুধু কাজলের একটা হালকা রেখা টেনে দিন চোখে। মাশকারা পরুন মোটা করে।
শাড়ি পরলে মানানসই টিপ লাগিয়ে নিতে পারেন। পরিণীতা হলে সিঁথিতে দিন সিঁদুর। হালকা গয়না পরে নিন। বাইরে বের হওয়ার আগে ভালো মানের পারফিউম ব্যবহার করুন।
সারাদিনের জন্য বের হলে চুল এমনভাবে বাঁধুন যাতে বাড়তি ঝামেলা পোহাতে না হয়।
সপ্তমীর রাতের সাজও হবে হালকা। ফাউন্ডেশন লাগিয়ে এর উপর ফেইস-পাউডার লাগিয়ে নিন।
চোখের উপর নীল বা গ্রে আইশ্যাডোর মিশ্রণে ব্যবহার করুন। এর উপর সিলভার রং দিয়ে হাইলাইট করুন। চোখে মোটা করে কাজল দিন। মাশকারা পরুন কয়েক পরত করে। তাহলে ঘন লাগবে চোখের পাপড়ি।
ঠোঁটে হালকা রংয়ের লিপস্টিক পরুন। কপালে বড় লাল টিপ ও সিঁথিতে সিঁদুর পরুন। শাড়ির সঙ্গে সামনের চুল ফুলিয়ে পিছনটা আয়রন করে খোলা রাখতে পারেন।
মেইকআপ: শিবানী দে।
মডেল: মিটমিটি চক্রবর্তি, নবনীতা দাস।
আলোকচিত্র: ডিউক চৌধুরী।