একটি দুটি করে বিগত কয়েক বছরে বসুন্ধরা সিটির মার্কেট অংশের শেষ তলায় পুরোটাই ছেয়ে গেছে বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকানে। বড় রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে 'কার্ট'— সবই আছে। আছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধাঁচের খাবার।
বড় রেস্তোরাঁর মধ্যে আছে সল্ট গ্রিল, ক্যাপ্রিকর্নস ওয়ার্ল্ড, ক্যাফে সোসাইটি ইত্যাদি। ছোট দোকানের সংখ্যা গুণে শেষ করতে বেশ বেগ পেতে হতে পারে। বেশিরভাগ দোকানেই একই ধরনের খাবার। যেমন: চটপটি, ফুচকা, দই-ফুচকা, রাজ-কাচোরি, দোসা, চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, আইসক্রিম, বিভিন্ন শরবত, লাচ্ছি, কোল্ড কফি, কফি, সেট মেন্যু, সুপ ও বিভিন্ন ফাস্টফুড।
তবে এরমধ্যেও বেশ কিছু দোকান ভিন্নধর্মী খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছে বসুন্ধরা সিটিতেই। এরমধ্যে কিছু দোকানের নাম উল্লেখ করা হলো।
ধানমণ্ডির ইন্ডিয়ান স্পাইসি মাসালা রেস্তোরার শাখা এটি। তাদের রয়েছে নিজস্ব বসার ব্যবস্থা। ভারি খাবারের সেট মেন্যুগুলোই বেশি চলে তাদের। তবে বার্গারের চাহিদাও আছে।
বিফ বার্গার ১৩০ টাকা। চিকেন বার্গার ১৬০ টাকা। এছাড়া ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, কোলসো ও ড্রিংকসের সঙ্গে মিলিয়ে বার্গারের একটি সেট মেন্যুও বিক্রি করেন তারা, দাম ২২৫ টাকা।
শর্মা হাউস
নাম এক হলেও শর্মা হাউস রেস্তোরার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তাদের, জানালেন ম্যানেজার তাপস সরকার। সব মিলিয়ে ৫০ ধরনের খাবার বিক্রি করেন তারা।
এই দোকানে ২ ধরনের অ্যারাবিয়ান শর্মাই সবচাইতে জনপ্রিয় বলে জানা যায়, দাম ১৫০ টাকা ও ২০০ টাকা। এছাড়াও আছে দোসা, পাস্তা, চিকেন লুচি-কারি ইত্যাদি।
কাবানা সি ফুড
স্কুইড, অক্টোপাস, কোরাল, ভেটকি, রূপচাঁদা, পমফ্রেট ও কাঁকড়া ইত্যাদির বিশেষ ধরনের ডিশগুলো পাওয় যাবে। তবে বেশি চলে সি ফুড সুপ, স্কুইড ও ভেটকি মাছের ডিশগুলো।
সি ফুড সুপ ২৫০ টাকা, স্কুইড ২৪০ টাকা আর ভেটকি মাছ ৫৫০ টাকা। খাবারের উপকরণ সংগ্রহ করা হয় কাপ্তান বাজার ও গুলশান থেকে।
নামেই বোঝা যায় ভারতীয় খাবারের দোকান। পাওয়া যায় ২০ ধরনের ভারতীয় খাবার। এদের মধ্যে ১২০ টাকার মাসালা দোসা, ১১০ টাকার ছোলা বাটোরা আর ১১০ টাকার দই ফুচকার চাহিদাই সবচাইতে বেশি। ভারি খাবারের মধ্যে বেশি চলে তন্দুরি রাইস, দাম ২৮০ টাকা।
ঢাকাইয়া
বসুন্ধরা সিটির অষ্টম তলায় মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডের এই রেস্তোরাঁর ৬টি দোকান রয়েছে, জানালেন ম্যানেজার জাকির হোসেন।
পুরান ঢাকার প্রায় দুইশ ধরনের খাবারের পসরা সাজিয়েছেন তারা। বেশি চলে টিক্কা মাসালা, দাম ২৪০ টাকা। বিফ ক্যাপসিকাম, দাম ২৪০ টাকা। আর চাপ ও পরোটা তো আছেই।
গরুর চাপ ১৬০ টাকা আর মুরগির চাপ ১৪০ টাকা, সঙ্গে পরোটা ফ্রি।
কড়াই গোস্ত
ম্যানেজার কাজী মনির বলেন, “৩ বছর ধরে আমাদের এই শাখা চলছে। তবে এখানে শুধু ফাস্টফুড ও চাইনিজ খাবার বিক্রি করা হয়।”
৪০ জনের বসার ব্যবস্থা আছে।
থাই কিচেন
থাই কিচেনের ম্যানেজার মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল ফাস্টফুড, ভারতীয় ও থাই মিলিয়ে প্রায় দুইশ পদের খাবার আছে তাদের। এরমধ্যে বিফ সিজলার, বিফ শেইডার ও থাই চিকেনের চাহিদা বেশি। সবগুলোরই দাম ২২৫ টাকা।
সালাদের মধ্যে জনপ্রিয় চিকেন কাজুনাট সালাদ, দাম ৩৫০ টাকা। পাস্তা সালাদ, দাম ২৬৫ টাকা।
টাকো বেল
৭ বছর ধরে বসুন্ধরায় টাকো বিক্রি করছে এই রেস্তোরাঁ। মেন্যুর ৭০টি পদের মধ্যে ২২ ধরনের টাকো আছে। তবে সবচাইতে বেশি বিক্রি হয় টাকো সুপ্রিম, জানালেন ম্যানেজার মোহাম্মদ মামুন। দাম ১৬০ টাকা।
ভারি খাবারের মধ্যে সিজান রাইসের চাহিদা বেশি, সঙ্গে থাকবে বিফ অথবা চিকেন কারি, দাম ৩৪০ টাকা।
এগুলো ছাড়াও লেভেল ৮-এ আছে আরও অসংখ্য ফুড কোর্ট, রেস্তোরা ও কার্ট।
দোকানগুলোর সামনে দিয়ে হেঁটে গেলেই নিজেদের মেন্যু নিয়ে এগিয়ে আসবে দোকানিরা। ফাস্টফুড ও ভারতীয় খাবার বেশি চোখে পড়লেও কিছুটা যাচাই-বাছাই করে বসলে ভিন্নধর্মী খাবারও পাওয়া যাবে।