দেখলে বোঝা যাবে না, মনে হবে একটিই রেস্তোরাঁ। তবে দুই রেস্তোরাঁয় মিলবে দুই ধরনের খাবার। এরমধ্যে গ্রিক খাবার। যা ঢাকায় পাওয়া ‘দুর্লভ’ এটা সহজে বলা যায়।
দুপুরে দুই রেস্তোরাঁতেই থাকে বুফ্যে। ৩৫ রকম পদের মধ্যে থাকে সালাদ, অ্যাপেটাইজার, সুপ, মেইন ডিশ ও মিঠাই। খরচ পড়বে ৪২৫ টাকার কিছু বেশি।
রেস্তোরাঁ ম্যানেজারের দাবি, বনানীর এই অঞ্চলে এতো কম খরচে বুফ্যে কোথাও পাওয়া যাবে না!
রক রেস্তোরাঁর বিশেষ একটি ব্যাপার হলো, ইচ্ছে হলে খাবার নিজেই রেঁধে খেতে পারবেন!
আবার ভেবে বসবেন না, আপনাকে যেতে হবে রান্না ঘরে। বরং টেবিলেই আসবে ছোট আকারের একটি ‘ব্ল্যাক স্টোন’, সাবধান থাকবেন, পাথরটা কিন্তু ভীষণ গরম! পাশেই থাকবে স্টেকের কাঁচামাংস বা যা কিছু খেতে চান। আর সেই গরম পাথরের উপরেই মিনিট পাঁচ-সাতেই তৈরি হয়ে যাবে স্টেক!
স্টেকের জন্য পাঁচ ধরনের মাংসের 'কাট' মিলবে এখানে- টি বোন, সিরলয়েন, রিব আই, রাম্প ও ফিলেই মিনিয়ো। জানা গেল ব্যবহার করা হয় অস্ট্রেলিয়ান ব্রিডের বিফ। খরচ পড়বে ১১৫০ টাকা।
অ্যাপেটাইজার হিসেবে সিজলিং বিফ মন্দ নয়, দাম ৩৯৫ টাকা।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান বলেন "কাসা গ্রিক’ বাংলাদেশের প্রথম গ্রিক রেস্তোরাঁ।"
কতখানি খাঁটি এই খাবার? প্রশ্ন রাখতেই রহমানের দার্শনিক জবাব, "এই খাবারগুলো গ্রিক ফিউশন বলাটাই হবে যুক্তিযুক্ত। তবে কিছু গ্রিক খাবারের সঙ্গে এমনিতেই ইতালিয়ান খাবার বানানোর ধরনের মিল আছে। আবার কিছু মসলা ও হার্বসের ব্যবহাররেও রয়েছে মিল। যেমন মুসাকা খাবারের সঙ্গে লাজানিয়ার মিল চোখে পড়বার মতো।"
জাজিকি পরখ করে দেখতে পারেন। ক্রিমি ইয়োগার্টের সঙ্গে শসা ও রসুনের মিশ্রণের পাশাপাশি থাকবে পিটা ব্রেড। ২৫০ টাকা গুনতে হবে। আছে স্মোকড স্যামন ও কালামারি ফ্রাই।
গ্রিক ফেটা চিজ পশ্চিমা বিশ্বে বেশ পরিচিত নাম। ক্রিইমি ও হালকা-কড়া গন্ধের এই চিজ মুখে গলতে খুব একটা সময় নেয় না! এই স্বাদ নিতে চাইলে গ্রিক সালাদ অথবা ফেটা চিজের সঙ্গে ব্ল্যাক অলিভ হতে পারে আদর্শ।
গ্রিক স্টাইলের বিফ কাবাব সভলাকিও চেখে নেওয়া যেতে পারে। ৭৫০ টাকা দাম। সঙ্গে দেওয়া হয় সবজি ও রাইস।
ঠিকানা : বাড়ি ২৩, রোড ১০ বনানী।
ছবি: মামুনুর রশিদ শিশির।