এডিএইচডি হলে দেখা যায় শিশুরা ক্লাস বা অন্য কোথাও গেলে অন্যমনস্ক হয়ে যায়, বা সহজে কারও সঙ্গে কথা বলতে চায় না।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যায়াম বা খেলাধুলা করলে বা শারীরিক বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকলে শিশুদের এই ধরনের সমস্যার পরিমাণ কমে আসে।
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির কিনেসিওলজির বিভাগীয় প্রধান অ্যালান স্মিথ জানান, শারীরিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকলে এডিএইচডি-এ আক্রান্ত বাচ্চাদের মানসিক অবস্থায় কিছুটা উন্নতি হতে দেখা যায়।
ইউনিভার্সিটি অফ ভারমন্টের দুজন মনোবিজ্ঞানী স্মিথ এবং বেটসি হোজা ২০০ জন প্রাথমিক স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের উপর ১২ সপ্তাহের একটি গবেষণা চালান। ২০০ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে কিন্ডারগার্টেন থেকে শুরু করে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীই বেশি ছিল।
গবেষণায় প্রতিদিনই স্কুল শুরুর আগে ছাত্র-ছাত্রীদের একটি দল বাছাই করে বিভিন্ন শারীরিক কসরত করানো হত। আর অন্যদল ক্লাসরুমে বা ঘরোয়া কাজেই বেশি সময় পার করত।
গবেষণায় দেখা গেছে, যে শিশুরা বাইরে খেলাধুলা বা অন্যান্য কাজে সময় কাটিয়েছে তারা অন্য দলটির তুলনায় দ্রুত এডিএইচডি সমস্যা থেকে উতরে গেছে।
অ্যাবনরমাল চাইল্ড সাইকোলজির জার্নালে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।