সোনার বাড়তি দাম এবং পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি— সব মিলিয়ে বাড়ছে নকল গয়নার কদর। যা কাস্টম গয়না নামে পরিচিত। সোনার গয়নার মতোই ডিজাইন আর সঙ্গে কুন্দন এবং পাথরের জমকালো কাজ। সব মিলিয়ে বিয়ে বা অন্য যে কোনো অনুষ্ঠানে পরার জন্য আদর্শ এই অলঙ্কার।
চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বেশিরভাগ শপিং সেন্টারগুলোতেও বেড়েছে কাস্টম জুয়েলারির দোকান। পিঙ্ক সিটি, বসুন্ধরা শপিং সেন্টার, মেট্রো শপিং মল, সীমান্ত স্কোয়ার, রাপা প্লাজা, চাঁদনি চক ইত্যাদি মার্কেটগুলোতে রয়েছে বেশ কিছু দোকান।
গুলশান ১-এর পিঙ্ক সিটিতে বেশ কয়েকটি দোকানে কাস্টম জুয়েলারি রয়েছে। সিলভার ওয়ার্ল্ড, এক্সপ্রেশন গুডিস, আরফিন, বি.এম. জেমস অ্যান্ড পার্ল, মিনি মার্ট গুলশান, খলিফা ঘর ইত্যাদি।
সিলভার ওয়ার্ল্ড দোকানের বিক্রয় প্রতিনিধি রতনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাস্টম অলঙ্কারের মধ্যে কানের দুলের চাহিদাই বেশি।
রতন বলেন, “যে কোনো অনুষ্ঠানে শাড়ি বা সালোয়ার কামিজের সঙ্গে পরার জন্য মানানসই দুলই বেশি পছন্দ করেন তরুণীরা। এছাড়া লকেট ও চেইনের চাহিদাও আছে। তবে বিয়ের অনুষ্ঠান ছাড়া বড় নেকলেস বা হারের তেমন একটা চাহিদা নেই।”
রতন জানান, শুধু কানের দুলই আছে ১ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। সেট ১৫শ’ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। এছাড়া আংটি, নাকের নথ, ঝাপটা ইত্যাদিও পাওয়া যায় এ ধরনের গয়নার মধ্যে।
বেশ কিছু দোকান ঘুরে এসব অলঙ্কারের মধ্যে অনেক ধরনের নকশা এবং কারুকার্যে বৈচিত্র্য দেখা যাবে।
লম্বা গলার হারের সঙ্গে ছোট আকারের ঝুমকা বা ঝোলানো দুল, ভারি জরোয়া সেটের সঙ্গে ঝুমকা ও টিকলি, চেইনের সঙ্গে বিভিন্ন আকারের লকেট এবং সেই সঙ্গে মিলিয়ে কানের দুল ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সেট পাওয়া যাবে কাস্টম জুয়েলারির মধ্যে।
এছাড়া শুধু দুল চাইলেও বিভিন্ন আকারের ও নকশার দুল পাওয়া যাবে এ ধরনের অলঙ্কারের মধ্যে। আরও আছে আংটি, চুড়ি, নাকের নথ এবং ঝাপটা।
বসুন্ধরা সিটির অলঙ্কারের দোকান কেজেড-এর বিক্রয়কর্মী মোহাম্মদ মিল্টন হাসান বলেন, “ভারত থেকেই এই গয়নাগুলো আনিয়ে থাকি আমরা। ভারতের রাজস্থান, কাশ্মির ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গা থেকে গয়নাগুলো আমদানি করা হয়।”
তিনি আরও জানান, প্রধানত কানের দুল এবং হালকা সেটের চাহিদাই সব থেকে বেশি। কানের দুলের দাম সাড়ে পাঁচশ টাকা থেকে শুরু হয়ে শেষ হয়েছে প্রায় ১৬শ’ টাকায়। এছাড়া সেট হিসেবে এসব গয়নার দাম পড়বে ১৫শ’ থেকে ৯ হাজার টাকার মধ্যে। তবে বেশি ভারি গয়না চাইলে আরও বেশি দাম পড়তে পারে।
বসুন্ধরায় রয়েছে এ-ওয়ান গ্যালারি নামের বেশ কয়েকটি দোকান, কারিশমা ফ্যাশন, এইচটু গ্যালারি, ওয়ান কালেকশন, জেমস গ্যালারি, অঞ্জন স্টোন গ্যালারি, দুল, অ্যারাবিয়ানস, এক্সটিক কালেকশন ইত্যাদি দোকান।
এছাড়াও প্রায় সব শপিং সেন্টারগুলোতেই আছে কাস্টম জুয়েলারির দোকান। তাছাড়া ডিজাইন দেওয়া হলে কিছু কিছু দোকানে সেই অনুযায়ী গয়না বানিয়েও দেয়।
এছাড়া বিভিন্ন বুটিক শপ, দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলোতেও রয়েছে কপট অলঙ্কারের বাহারি সংগ্রহ।
কাস্টম জুয়েলারি সাধারণত গোল্ড প্লেটিং করা থাকে রং নষ্ট হয়ে গেলে তা পুনরায় গোল্ড প্লেটিং করে নেওয়ার সুবিধাও দিয়ে থাকে দোকানগুলো।
গয়না সৌজন্যে: চন্দন